কলকাতা: শহরে ফের আক্রান্ত পুলিশ (Police)। এবার মুচিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। পুলিশের উপরেই চড়াও দুষ্কৃতীরা। আহত এক এসআই ও দুই কনস্টেবল। ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


প্রসঙ্গত, বারবার নানা ইস্যুতে শিরোনামে এসেছে মুচিপাড়া। এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মুচিপাড়া এলাকায়। নাম জড়িয়েছিল বিজেপি নেতা সজল ঘোষেরও। যদিও সেবার সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েনি পুলিশ। বরং উলটপূরাণের দৃশ্যই প্রকাশ্যে এসেছিল। ততদিনে একুশের বিধানসভা ভোটে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে মমতার সরকার। বিরোধীদের মুখে ঘুরছে, 'মমতার পুলিশ।' মূলত, বিজেপি নেতা সজল ঘোষের অনুগামীদের বিরুদ্ধে মুচিপাড়া থানায় এক যুব তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।


এদিকে আবার পাশাপাশি মুচিপাড়া থানার পাশে সজল ঘোষের অনুগামীদের একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে সেসময় তৃণমূল নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সজল ঘোষ সেসময় অভিযোগ তুলেছিলেন, সকালে তাঁরা এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। সকালেই মুচিপাড়া থানায় সজল ঘোষ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে মারধর এবং দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বলে দাবি ওঠে। এরপরই পুলিশ সজল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং লাথি মেরে, সদর দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 


আরও পড়ুন, 'দুর্নীতিতে দেখাতে হবে জিরো টলারেন্স', সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকের পর কী বার্তা রাজ্যপালের ?


অন্যদিকে, বিজেপির জবাবে ‘প্রতিহিংসা’র অভিযোগ। সজল ঘোষের গ্রেফতারিই বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলায় বিজেপি করলে কী হবে! তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গ্রেফতার না করলে জনরোষ তৈরি হত,পাল্টা জবাব দিলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুচিপাড়াকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের স্ত্রী তানিয়া ঘোষ দাবি করেছিলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে বাড়িতে ঢোকা, সঙ্গে মহিলা পুলিশ না থাকা, তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি-সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে মুচিপাড়া থানায় গেলেও পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি।পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন বিজেপি নেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। অস্ত্র উদ্ধার ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে এরপর সজল ঘোষকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। সেখানে বিজেপি নেতার পরিবার পুলিশ কর্মীদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও সজল ঘোষের পরিবারের দাবি ছিল, তল্লাশিতে আসেইনি পুলিশ। ২দিন পুলিশ হেফাজতে রেখেও কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি, পাল্টা সওয়াল সজল ঘোষের আইনজীবীর।