কলকাতা: রাজ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সল্টলেকে একদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে পুজোর ঠিক আগে থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে জেলায় জেলায় সংক্রমণ শুরু হয়। একদিকে টানা বৃষ্টির পরিষ্কার জলেই কি জন্ম নিয়ে ডেঙ্গি মশার লার্ভা ? এই সব আশঙ্কার মাঝেই কোভিডকে পিছনে ফেলে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি। এহেন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পরিবহণ মন্ত্রীকে তোপ দেগে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)।


 অগ্নিমিত্রা পাল এদিন বলেন, হাজার লোক আক্রান্ত, কত লোকের মৃত্যু হচ্ছে, তার কোনও হিসেব নেই। আমরা কোনও কথা জিজ্ঞেস করতে পারবো না ! কোনও তথ্য জানতে পারবো না ! কেন ? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় তো আপনারা চলছেন, সরকার চলছে। এরপরেই তিনি বলেন, ' আর ফিরহাদবাবুকে তো জিজ্ঞেস করলেই উনি গোল গোল করে ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। আবার উনিও নাকি, আমি শুনছি যে, ডেঙ্গি নিয়ে গবেষণা করছেন ! উনি বলছেন ট্রপিক অব ক্যানসার, তার নিচে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ বলে, আমাদের নাকি ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে। উনি বোধহয় মেয়রের কাজ ছেড়ে, গবেষণার কাজ শুরু করেছেন।' উল্লেখ্য, সল্টলেক আমরিতে কেষ্টপুরের সোমনাথ দে-র মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এনআরএসের সাফাই কর্মী বুবাই হাজরার মৃত্যু। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এনআরএসেই ট্যাংরার বাসিন্দা বুবাইয়ের মৃত্যু হয়। এদিকে, রুবি হাসপাতালে মৃত্যু আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তর। মৃতের নাম আবু সৈয়দ মহলাদার।


আরও পড়ুন, 'জেলাপরিষদের একটা বদনাম আছে, ভালো করে কাজটা করতে হবে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক


 প্রসঙ্গত, এবার ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার পেরিয়েছে। আরও ৩ জনের মৃত্যুতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৭৮ জনে।রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরাও। আক্রান্তের সংক্যা যেভাবে বাড়ছে সেই ধারা চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতালে বেড পর্যন্ত পেতেও নাকানিচোবানি খেতে হতে পারে বলেই আশঙ্কা তাঁদের। পাশাপাশি একসঙ্গে জোড়া ডেঙ্গি প্রকারভেদের রাজ্যে আক্রমণের জেরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। একদিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্লেটলেটের আকাল। শহরের একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেটের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজস এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, এমআর বাঙুর হাসপাতালে প্লেটলেটের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য ।