কলকাতা:

  আজ 'মহাজোট' আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের।  মহামিছিলের ডাক দিয়েছে ৯টি মঞ্চ। শিয়ালদা (Sealdah) থেকে শুরু হয়েছে। মিছিল যাবে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। হকের চাকরি ছিনিয়ে নেব , হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের। তাহলে ঠিক কতটা পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে ?  এই প্রশ্নই উঠে এসেছে আজকের এই মিছিলের সঙ্গে। 


'হকের চাকরি ছিনিয়ে নেব', মহামিছিলে কী বলছেন আন্দোলনকারীরা ? 


ইতিমধ্যেই এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেছেন, 'রাজনীতিতে যদি মহাজোট হতে পারে, তাহলে যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদের কেন মহাজোট হবে না ? দেখিয়ে দেব বঞ্চিতদের কতটা শক্তি। সাদা খাতা দিয়ে কীভাবে চাকরি, টাকার বিনিময়ে? 'উল্লেখ্য, কেউ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাশে, যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এঁরা। এবার আর আলাদা আলাদা নয়, একজোট হয়ে পথে নামতে চলেছেন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের ৯টি মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে, সোমবার মহামিছিল নেমেছে তারা। শহর দেখেছে ব্রিগেডের ময়দানে রাজনীতির মহাজোট, আর এবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাঁরাও এবার রাজনীতির মতো মহাজোট বাঁধলেন। কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিয়ালদা থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল শুরু হয়। মিছিল যাবে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তাতে সামিল  ৬০০ দিনের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসা SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ছাড়াও মিছিলে যোগ দেবেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা-সহ অন্যান্য মঞ্চ। 


আরও পড়ুন, 'নীল সাদার জয় কি মা মাটি মানুষের জয় ?' কাদেরকে তোপ দাগলেন দিলীপ ?


'হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মেলেনি নিয়োগপত্র'


বিদ্বজ্জনদের একাংশও মহামিছিলে অংশ নেওয়ার কথা, বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে ১৭ দিন অবস্থান বিক্ষোভের পর, শনিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করলেন ২০০৯-এর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশের ৩৯ দিন পরও সম্পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেনি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এরই প্রতিবাদে বালিগঞ্জে সংসদের দফতরের সামনে আন্দোলন জারি রেখেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা নিয়োগপত্র হাতে পাননি। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও অবিলম্বে নিয়োগ দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।