সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মহেশতলায় অত্যাচারিত নাবালক এখনও নিখোঁজ। এর মধ্যেই এবার একই অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়! মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে, চারদিন ধরে আটকে রেখে বেধড়ক মার। ড্রিল মেশিন দিয়ে পা ফুটো করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। 

এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ।  আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী বলেন, 'আমি বললাম আমার স্বামীকে ধরেছে, ছাড়ছে না, চলুন। বলছে ছেড়ে দেবে, কিছু করবে না। আমার বরের বিচার চাই। আর কী চাইব।'

কড়েয়ার বাসিন্দা ২৭ বছরের ওই যুবক পেশায় ভ্যানচালক। রোজকার মতোই রবিবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন দুপুরেই বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে রাস্তায় ফেলে যুবককে মারধর করা হচ্ছে বলে খবর পান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখানে ছুটে গিয়েও কোনও হদিশ মেলেনি। 

পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন যুবক। চারদিনের মাথায় বুধবার গুরুতর জখম অবস্থায় কুষ্টিয়া রোডের ধারে উদ্ধার করা হয় যুবককে। মোবাইল চোর সন্দেহে চার দিন ধরে যুবককে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, প্রথমে কড়েয়া থানায় গেলেও অভিযোগই নিতে চায়নি পুলিশ।                                                                                                      

আক্রান্ত যুবকের দিদি বলেন, 'বলছে আমরা ওকে মেরেছি। আমি বলেছি কেন মেরেছ? আইন আছে, বিচার করবে। বলছে না, পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রী, কাউন্সিলর আমাদের পকেটে থাকে। আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। আরও ১৫, অনেক ছেলে রয়েছে, যারা এখনও ধরা পড়েনি। আমার ভাইকে চারদিন ঘরে রেখে মেরেছে।' 

কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছেন, থানার বিরুদ্ধে পরিবারের কোনও অভিযোগ থাকলে তা ডেপুটি কমিশনারকে জানাতে পারেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্ক সার্কাসের ফ্লেমিং নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত যুবক। চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।