ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: আনন্দপুর থানা (Anandapur Police Station) এলাকায় আর্বানার পাশের ভেড়ির দু’পাড়ে গজিয়ে উঠেছে খাটাল। অভিযোগ, খাটালের বর্জ্য ফেলে আস্তে আস্তে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে ভেড়ি। শহরে খাটাল রাখা বেআইনি। তা সত্ত্বেও কেন চলছে, প্রশ্ন  স্থানীয় কাউন্সিলরের। কলকাতার মেয়রের আশ্বাস, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) এলাকায় খাটাল রাখা বেআইনি।  কিন্তু আনন্দপুর থানা এলাকার হোসেনপুরে, কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে  ২৮ বিঘের ওপর যে ভেড়ি রয়েছে, তার দুপাশে তৈরি হয়েছে খাটাল। গত ৫ বছরে এই খাটাল যে শুধু তৈরি হয়েছে, তাই নয়, এর বর্জ্য ফেলে ভেড়ি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর্বানার পাশে এই ভেড়ির দুই পাড় এখন বেআইনি খাটালের দখলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে টিকতে পারছেন না তাঁরা।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দুর্গন্ধে টেঁকা যায় না। তাছাড়া রাস্তার উপরেই গরু মোষ ছেড়ে দেয়, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ভেড়িতে বর্জ্য ফেলার ফলে মাছ চাষেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ মত্‍স্যচাষিদের। এক মৎস্যচাষির কথায়, “মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। আমরা দিন আনি , দিন খাই। এলাকার লোক এর উপর নির্ভরশীল ছিল।‘’


খাটাল নিয়ে চাঞ্চলকর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান।  কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের দাবি “২০ ফুট জায়গা নিয়ে শুরু হয়েছিল। এখন এর পিছনে অন্য অভিসন্ধী রয়েছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর।  সুকৌশলে খাটালের বর্জ্য, ভেড়িতে ফেলা হয়। আস্তে আস্তে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে ভেড়ি।  ভেড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে।’’


পরিবেশবিদদের প্রশ্ন, কলকাতা পুরসভার নাকের ডগায় কীভাবে খাটাল হয়েছে? পরিবেশবিদ নব দত্ত বলেন, “এই এলাকা সম্ভবত ইস্ট ক্যালকাটা ওয়েট ল্যান্ডের মধে পড়ে। কলকাতায় খাটাল বেআইনি। তাহলে কলকাতা পুরসভার নাকের ডগায় কীভাবে খাটাল হয়েছে?’’ পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বরো চেয়ারম্যান বিষয়টি জানিয়েছেন। লিখিতভাবে জানাতে বলেছি।  কলকাতায় খাটাল রাখা যাবে না। ব্যবস্থা নেব।’’


আরও পড়ুন: Calcutta Medical College: জটিল অস্ত্রোপচারে বাঁচল শিশুর প্রাণ, সাফল্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের