সমীরণ পাল, অশোকনগর: তোলা না দেওয়ায় ৪৭টি গাছ কেটে (Tree Cutting) দিয়েছেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা। অশোকনগরে (Ashoknagar) এমনই অভিযোগ তুলেছেন এক সরকারি চিকিৎসক (Doctor)। যদিও ক্লাব (Club) কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুলিশ ও বন দফতরকে (Forest Department) অভিযোগ জানিয়েছেন চিকিৎসক।
একটাও গাছ আর আস্ত নেই। কোনওটার একেবারে গোড়া থেকে কাটা হয়েছে। কোনওটি মাঝখান থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তোলা না দেওয়ায়, এভাবেই এক ব্যক্তির জমিতে থাকা গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে। স্থানীয় ক্লাব সদস্যরা ৪৭টি গাছ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ জমির মালিকের।
বারাসাত হাসপাতালের চিকিৎসক (Barasat Hospital) সুমিত্রা হালদারের ২৭ কাঠা জমি আছে অশোকনগরের (Ashoknagar) বালিশা চড়কপাড়ায়। নিজে বারাসাতে (Barasat) থাকলেও, অশোকনগরের (Ashoknagar) জমিতে বাড়ি বানানোর পাশাপাশি প্রচুর গাছ লাগান তিনি। কিন্তু অভিযোগ, দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় ৪৭টি গাছ কেটে দিয়েছেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা (Club Members)। অভিযোগকারী চিকিৎসক সুস্মিতা হালদার (Susmita Halder) বলেন, “কখনও ৬০ হাজার, কখনও ১ লাখ টাকা চাইছে। গত রবিবার ক্লাবে ডেকেছিল, আমি ডিউটিতে ছিলাম। আমার লোককে পাঠাই, পরের দিন দেখি ৪৭টি গাছ কেটে দিয়েছে।’’
প্রতিক্রিয়া নিতে অভিযুক্ত ক্লাবেও গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তালাবন্ধ ছিল ক্লাব। ক্লাব কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী চিকিৎসক বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে জানিয়েছেন। যদিও বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি রাজীবপুর বিড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন দফতরের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদের কথায়, “বলব কড়া ব্যবস্থা নিতে, গাছ কাটা অন্যায়।’’