কলকাতা: দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) অনুব্রত-মামলার (Anubarata Mandal) শুনানির সম্ভাবনা, বদলাল এজলাস। দিল্লি-যাত্রা ঠেকাতে মরিয়া অনুব্রত, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। ইডির প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা অনুব্রতর । বিচারপতি যশমীত সিংহের এজলাসে মামলা পাঠালেন বিচারপতি অনুপ ভামভানি। প্রথমে বিচারপতি অনুপ ভামভানির এজলাসে অনুব্রত মামলার শুনানির কথা ছিল। 'এর আগে বিচারপতি যশমীত সিংহ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিলেন', বিচারপতি যশমীত সিংহের এজলাসে মামলা পাঠানোর আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী।


অপরদিকে, দিল্লি-যাত্রা নিশ্চিত হওয়ার দিনই সামনে আসে ১ বছরেরও বেশি সময় আগের পুরনো একটি অভিযোগ।এক তৃণমূল কর্মী অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে না কি তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে তোলা হয়।৭ দিনের জন্য় তাঁকে হেফাজতে পেয়ে গেল পুলিশ। অর্থাৎ আপাতত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি চলে গেলেন রাজ্য় পুলিশের হেফাজতে।রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রত'র দিল্লি যাওয়া আটকাতেই কি তড়িঘড়ি পুরনো অভিযোগে নতুন মামলা দায়ের করা হল? প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুরের দাবি, বর্তমানে জেলবন্দি অনুব্রত, তাই অভিযোগ করেছেন। এর আগে ২০১৩-য় তৃণমূল পরিচালিত বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন শিবঠাকুর মণ্ডল। আড়াই বছর পর, অনাস্থা এনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক ৬ মাস পর, অনাস্থা এনে ফের প্রধান করা হয় শিবঠাকুরকে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত তৃণমূলের প্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৮-য় পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। দলের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়ে বলে অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল প্রধানের। অভিযোগ, এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনার কথা শুনে অনুব্রত তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে মারধর করেন।


আরও পড়ুন, অনুব্রতর বিরুদ্ধে 'খুনের চেষ্টা'-র মামলায় ৩ দিন পার, শিবঠাকুরের 'বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ'


এদিকে অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলায় ৩ দিন পরেও, অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ (Police)। খোদ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডল এ কথা জানিয়েছেন। 'তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে দরজায় তালা দিয়ে গলা টিপে খুনের চেষ্টা'-র অভিযোগ। অনুব্রতর নিরাপত্তা রক্ষী উপস্থিত থাকলেও, তিনি নির্বিকার ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগকারীর দাবি, ওই নিরাপত্তা রক্ষী সায়গল হোসেন নন। অভিযোগপত্রে ঘটনার দিন মে মাসের গোড়ায় বলে দাবি । এবিপি আনন্দর প্রশ্নের জবাবে বিধানসভা ভোটের আগে ঘটনাটি ঘটে বলে উল্লেখ। অনুব্রতকে গ্রেফতারের ৯৮ দিন পর, অভিযোগ জানালেন কেন? অভিযোগকারীর দাবি, গীতাপাঠ করে সাহস সঞ্চয়ের পর থানায় গিয়েছেন।গরুপাচার মামলায় অনুব্রত-যোগের তদন্তে আচমকা নতুন মোড়! মোক্ষম সময়ে এক বছরের পুরনো অভিযোগ, হঠাৎ চাগাড় দিয়ে ওঠায়, রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনার আলোড়ন তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর, সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিল ইডি। কিন্তু, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই পুরনো মামলায় এক সপ্তাহের পুলিশ হেফাজত হল বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের বীরভূমেরই এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান।