প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি (Delhi) পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করল আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা নিয়ে কড়া নজরদারি আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের। সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন।  রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশনামার কপি পৌঁছল আসানসোল জেলে। 


 গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে, অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত-র দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি মিলিয়ে যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তা একজন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের আয়ের সঙ্গে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্পত্তি কি সায়গলের ? নাকি তাঁর নামে অন্য কেউ সম্পত্তি কিনেছে ? এই বিপুল টাকার উৎস কী ? এবার তা নিয়ে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 


জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করে ইডি। আসালসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত সেই অনুমতি দেয়। উল্লেখ্য, ১৫ সেপ্টেম্বর সিবিআই-র রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়, অনুব্রতর দেহরক্ষীর মাধ্যমেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গেছে এবং বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, সায়গলকে গিয়ে জেরা করে তাঁর সম্পত্তি, টাকার উত্‍স ও বেআইনি লেনদেন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি-র আবেদন খারিজ করে দেয় আসানসোলের ভেকেশন কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


আরও পড়ুন, ব্যারাকপুরে উদ্ধার ১০০ কেজি বোমার মশলা, বিস্ফোরক পাচার ও বিক্রির অভিযোগে ধৃত ৩


 প্রসঙ্গত, রাজ্যে গরুপাচার মামলায় প্রথমদিকে একাধিকবার তলব এড়িয়ে যান তৃণমূলের হেভিওয়েট বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তলবে হাজিরার দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসের ধার ঘেষে, তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। অসুস্থ বলে এসএসকেম-এ ভর্তি হন। এদিকে বারবার তলবের মাঝে হাসপাতালে ভর্তির ইস্যুতে না জানিয়ে আর যে কোনও সময় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাবে না বলে সাফ জানায় হাইকোর্ট।  তবে শেষ অবধি অনুব্রতকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত- ঘনিষ্ঠ প্রায় প্রত্যেককেই তলব করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রথমের দিকে নানা ইস্যু থাকলেও, এই মুহূর্তে গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।