অর্ণব মুখোপাধ্যায়, হিন্দোল দে ও বিটন চক্রবর্তী,কলকাতা: বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার দায় কার? তা নিয়ে এখন চরমে চাপানউতোর। অভিযোগ, তিনতলার অনুমতি থাকলেও, নির্মাণ হয়েছিল চারতলা। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বলছেন, তিনি জানেনই না, এই বহুতল কবে হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম দায় ঠেলছেন বাম আমলের দিকে। পাল্টা সিপিএমের দাবি, এই বহুতল তৈরি যখন শুরু হয়,তখনও এলাকায় ছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর। এরমধ্যেই এখনও অধরা বহুতলের প্রোমোটার।
বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার দায় কার? তা নিয়ে এখন চরমে চাপানউতোর। অভিযোগ, তিনতলার অনুমতি থাকলেও, নির্মাণ হয়েছিল চারতলা। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বলছেন, তিনি জানেনই না, এই বহুতল কবে হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম দায় ঠেলছেন বাম আমলের দিকে। পাল্টা সিপিএমের দাবি, এই বহুতল তৈরি যখন শুরু হয়,তখনও এলাকায় ছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর।
বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে রাতারাতি আশ্রয়হীন বহু পরিবার। কিন্তু, এর দায় কার? এই বহুতল হেলে পড়ার পর সামনে আসছে চাঞ্চল্য়কর সব তথ্য়। অভিযোগ, ৩ তলা অবধি তৈরির অনুমতি থাকলেও, চারতলা অবধি নির্মাণ করা হয়। যা নিয়ে স্থানীয়রা আঙুল তুলেছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে। বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা বলেন, 'বেআইনি কাজ দেখুন। তিনতলার ফাউন্ডেশন। চারতলা করেছে। কোনও পাইলিং নেই। পুরো ডোবা জমি। তার মধ্যে এই ফ্ল্যাট বানিয়েছে জোরজুলুম। পুরো ডোবা, পুরো ডোবা। কোনও পাইলিং বলে কিছু নেই। চারতলা যখন হয়, কাউন্সিলর তো ছিলেন। মিতালি ব্যানার্জিই ছিলেন তখন। সবাই তো জানে।'
যদিও, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর আবার দাবি করছেন, তিনি জানেনই না এই বহুতল কবে তৈরি হয়েছে। কলকাতা পুরসভা ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নিজেরাই জানি না, কবে তৈরি হয়েছিল। কেউ বলছে ৫ বছর, কেউ বলছে ৬ বছর। কেউ বলছে ৮ বছর। সিপিএম নেতা চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ইট গাঁথলে কাউন্সিলরকে জানাতে হয়,উনি বলছেন জানেন না।এটাতে পুলিশ-কাউন্সিলর যোগ আছে। ইনক্লুডিং MLA.
২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বহুতল বিপর্যয়ের জন্য় তারা এখন কাঠগড়ায় তুলছে বাম আমলকে। মেয়র ও পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলোনি এলাকাগুলো প্রথমে জলাজমি ছিল। ফিলিং হয়েছে লেফট ফ্রন্টের সময়ে এই বাড়িটাও প্রায় ১২-১৪ বছর আগের বাড়ি। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য় সুজন চক্রবর্তী বলেন , ববি হাকিম বাঘাযতীনের বাড়িটা নিয়ে ফালতু কথা বলেছেন। যখন এই বাড়িটা ভেঙে পড়ল, ওখানকার কাউন্সিলর তৃণমূলের, মেয়রের নাম ববি হাকিম। আর যখন এই বাড়িটা তৈরি হচ্ছিল শুরুতে, তখনও কাউন্সিলর তৃণমূলের ওই একই মহিলা, সম্ভবত মিতালি ব্য়ানার্জি, তখনকার মেয়রের নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, 'শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্বামীকে খুন পঞ্চায়েতের TMC সদস্যর..' !
বাড়ি হেলা পড়া নিয়ে তরজার আবহেই তৃণমূল বিধায়কের মুখে শোনা গেছে চাঞ্চল্য়কর স্বীকারোক্তি। যাদবপুরের তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, আমি এখানকার বিধায়ক এখানকার ছেলে একটা বাড়িও স্যাংশন প্ল্যান নেই। শিকড় ওপড়ানো গাছের মতো, চারতলা বহুতলটা হেলতে হেলতে এখন গিয়ে পড়েছে পাশের একতলা বাড়ির ওপর।