হিন্দোল দেল, কলকাতা : বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় বহুতলের তিনতলায় ফাঁকা বাড়িতে লুঠ। লুঠ হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গয়না। ভাঙা হয়েছে আলমারি ও লোহার গেট। ঘটনাস্থলে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।

Continues below advertisement


বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে বাড়ি। দোমড়ানো-মোচড়ানো অবস্থায় রয়েছে আলমারি। এখান থেকে বহু টাকা মূল্যের গয়না এবং নগদ অর্থ লুঠ হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন সেই বাড়ির সদস্যরা। 


সকাল ৯টায় অফিস বেরিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। একজন পরিচারিকা রয়েছেন বাচ্চার দেখভালের জন্য। তিনি বেলা ১২টা নাগাদ স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়ে যান। সোয়া ১২টা নাগাদ বাচ্চাকে স্কুল থেকে এনে দেখতে পান, ফ্ল্যাট লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে। গ্রিল কাটা। যা যা খোয়া গিয়েছে তা নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা।


পরিবারের মহিলা বলেন, "বাচ্চাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে প্রতিদিনের মতোই আমরা সকালে অফিস বেরিয়ে যাই। বাচ্চাকে যে দিদি দেখভাল করেন, তিনি ১২টা নাগাদ আনতে যান। ফিরে এসে আমাকে ফোন করছেন ঘরে কি কেউ ঢুকেছে ? দেখো, ঘরের দরজা-জানালা সব ভাঙা। আলমারি ভাঙা। এই কারণে আমি ঢুকিনি। বলি, আপনি গিয়ে আগে পাড়া-প্রতিবেশীকে খবর দিন। আমি এসে দেখি ঘরে এরকম আলমারির দরজার পাল্লা পুরো ভাঙা। কিছু সোনার গয়না নিয়েছে, কিছু গয়না নেয়নি। জামা-কাপড়সব ছড়ানো ছিটানো। ওয়ার্ডরোব সব খোলা। গেট খোলা । গেটের স্ক্ু খোলা। প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকার গয়না, সাড়ে ৪-৫ হাজার টাকার ক্যাশ ছিল। সব নিয়ে গেছে।"


গত মে মাসে হাওড়ায় চুরির ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিবছরের মতো এবছরও বেড়াতে গিয়েছিল উলুবেড়িয়ার এক পরিবার। কিন্তু, ফিরে আসতেই মাথায় হাত পড়ে গোটা পরিবারের। গত ৫ মে বাড়ি তালা বন্ধ রেখে সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।‌ সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের সদস্যরা দেখেন বাড়ির চারটে আলমারি ভাঙা। খোয়া গেছে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ কয়েক লক্ষ টাকার সোনা ও রূপোর গয়না ও জিনিসপত্র।‌ ঘটনাটি ঘটে উলুবেড়িয়া থানা থেকে হাফ কিলোমিটার দূরে  লকগেট পাড়ায়। জানা যায়, উলুবেড়িয়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের লকগেট পাড়ার বাসিন্দা কল্পনা কীর্তনীয়া ও তার দুই মেয়ে, জামাই ও নাতনি গত সোমবার সিকিমে বেড়াতে যান। প্রতি বছর বেড়াতে যাওয়ার সময় বাড়িতে দেখভালের লোক রাখলেও এবারে বাড়িতে তালা বন্ধ রেখে তারা রওনা দেন।