নয়াদিল্লি: নিষ্পাপ চেহারা, মন ভোলানো হাসি। নিমেষেই মন জয় করে নিয়েছিল সকলে। মারা গেল পাকিস্তানের সেই শিশুশিল্পী, উমর শাহ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে উমরের। এই খবর সামনে আসতেই শোকের ছায়া পাকিস্তানের বিনোদন জগতে। ভারতেও উমরের অনেক গুণমুগ্ধ রয়েছেন। ওইটুকু ছেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বলে বিশ্বাস হচ্ছে না কারও।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও জনপ্রিয় করে তুলেছিল উমরকে। তার দাদা আদমেদ শাহকে 'পিছে দেখো পিছে' বলতে শুনে হেসে কুটোপাটি হয়েছিল গোটা উপমহাদেশ। তার মৃত্যুর খবরে সকলে স্তম্ভিত। পাক সংবাদপত্র Dawn জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ডেরা ইসমাইল খান এলাকায়, নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় উমর। 

পরিবার সূত্রে খবর,  উমর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল বলে চিকিৎসকরাই জানিয়েছেন। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, লাগাতার বমি হচ্ছিল উমরের। সেই তরল কোনও ভাবে ফুসফুসে ঢুকে যায়, যার দরুণ কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা দেখা দেয়। এর আগে, বাড়িতে বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছিল বলেও খবর। তবে সাপের দংশন থেকেই বমি শুরু হয়, না কি অন্য কোনও কারণে, তা এখনও অস্পষ্ট।

উমরের দাদা, আহমেদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন সকলকে। তিনি লেখেন, 'সকলকে জানাতে চাই, আমাদের পরিবারের ঊজ্জ্বল তালকা, উমর শাহ আল্লাহ-র কাছে ফিরে গিয়েছে। সকলকে অনুরোধ, ওঁকে মনে রাখবেন। আমাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করবেন'। সাম্প্রতিক কালে, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার উমরের পরিবারে বিপর্যয় নেমে এল। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তার বোন আয়েশাও মারা যায়।

উমর সোশ্য়াল মিডিয়ায় যেমন জনপ্রিয় ছিল, তেমনই টেলিভিশনেও বেশ সফল হয়েছিল। দাদা আহমেদের সঙ্গে একাধিক শো-এ দেখা গিয়েছে। 'জিতো পাকিস্তান', 'শান-ই-রমজান'-এর মতো শো বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছিল তাদের। সেই উমরের এমন পরিণতি মানতে পারছেন না অনেকেই।

পাকিস্তানের তারকাদের অনেকেই উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ফাহাদ মুস্তাফা জানিয়েছেন, উমরের মৃত্যুতে তিনি বাকরুদ্ধ। মাহিরা খান সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন, 'অবিশ্বাস্য, জানি না কী বলা উচিত। আল্লা ওঁর পরিবারকে সহ্যশক্তি দিন'।