সমীরণ পাল, বরানগর : বরানগরে ধুন্ধুমার। তৃণমূল বনাম বিজেপি - স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের লড়াই। এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে 'বাংলাদেশি' অ্যাখ্যা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বরানগরে ছিল পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা। সূত্রের খবর, সেখানেই ঘটেছে এই কাণ্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে র‍্যাফ। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা বরানগরে। মঞ্চ থেকে কার্যত 'হুঁশিয়ারি' দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। তাঁর উদ্দেশ্যেও পাল্টা স্লোগান দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

Continues below advertisement

বিজেপির পক্ষ থেকে বর্তমানে স্থানীয় স্তরে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা করা হচ্ছে। বরানগরে ১২ নম্বরে ওয়ার্ডে মতিলাল মল্লিক লেনে আজ ছিল বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা। সেই সভায় এসেছিলেন সজল ঘোষ। অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব যখন থেকে সভা শুরু করেন, তখন থেকেই ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্চিতা দে-র নেতৃত্বে স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কর্মীরা হ্যান্ড মাইক নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, মাইক নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিয়ে বলতে থাকেন, বিজেপি অপপ্রচার করছে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। সভা চলাকালীনই মাইক নিয়ে সকলের সামনে মহিলা তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। অনেকের মুখেই শোনা গিয়েছে 'জয় বাংলা' স্লোগানও। 

তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্চিতা দে'র অভিযোগ, 'আমি এই পাড়ারই মেয়ে। এখানেই জন্মেছি। বড় হয়েছি। হঠাৎ করে কতগুলো বহিরাগত এল। তাদের জীবনে দেখিনি। এসে বলছে এই পাড়াতে বেশিরভাগ লোকেরা বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা। তৃণমূল জোর করে নাম উঠিয়েছে। এই পাড়ায় লোকেদের ১০০-১৫০ বছরের বসবাস। মতিলাল মল্লিক লেন যদি রোহিঙ্গা হয়, তাহলে কিছু বলার নেই। বয়স্করা বেরিয়ে এসেছেন। আমিও এসেছি যে কী হচ্ছে। ওরা তারস্বরে চিৎকার কর যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে বলতে পারত। আমায় বলেছে, সবার আগে আপনার নামটা কাটব। তোমার নাম না তোর নাম, কী বলেছে মনে নেই। আমি লাইভ করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট স্ট্রং থাকি। ছেলেটির নাম পৃথ্বীরাজ মুখার্জি। লাইভে ছেলেটি আছে। আমি বলেছি তোমরা কেন এরকম করছ? আমায় বলেছে সবার আগে আপনার/তোমার নাম কাটব। আপনি সবার আগে বাংলাদেশি। আমি, আমার মা-বাবা, পূর্বপুরুষ আমরা এখানের, ২০০-২৫০ বছরের বাসিন্দা। আমি বলেছি তুমি কে? ছেলেটি তেড়ে এসেছে। লাইভে সব আছে। দেখে নেবেন। ওই সময়ে লাইভ করেছিলাম। সঞ্চিতা দে-তে গিয়ে লাইভটা দেখে নেবেন।' 

Continues below advertisement

অন্যদিকে সজল ঘোষের অভিযোগ, 'আমাকে বলছে জয় বাংলা স্লোগান দিন। আমরা ওদের বলতে চাই বাংলা আমরা হয় করব। এটা বলেছি। জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছে। বাংলার মন কি জয় করতে পেরেছে? পুলিশের নিরপেক্ষ ছিল। পুলিশের উচিত ছিল সরিয়ে দেওয়া। কারণ আমরা পারমিশন নিয়েছি। পুলিশ সেটা করেছি, এক্সপেকটেশনও নেই। দাঁড়িয়ে ছিল, এতেই খুশি হয়েছি।'