কলকাতাঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা হতেই এবার বিস্ফোরক বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মূলত,  ৪ বার জিজ্ঞাসাবাদের পর এসএসসি-র ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা গ্রেফতার করে সিবিআই। এটাই বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি সিবিআই-র প্রথম গ্রেফতার। 


এদিন আইনজীবী ও সিপিএম সাংসদ বলেন, 'এদের তো কোনও দোষই নেই। আসল দোষী তো যার সিদ্ধান্তে এই কমিটি তৈরি করে করা হল, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দুর্নীতি করার জন্যেই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যিনি কমিটি তৈরি করেছেন, তিনি প্রকাশ্যে সভায় আন্দোলনকারীদেরকে বলেছেন, আমি যে কমিটি করছি, সেই কমিটি হবার পর তোমাদের নিয়োগ হবে। এবং নির্বাচনের মুখোমুখি এই কমিটি তৈরি করে এই দুর্নীটিটা করেছেন। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি আড়ালে বসে এখন পা নাড়বেন, এই সব চুনোপুঁটিকে গ্রেফতার করা হবে, তাতে তদন্ত ঠিকপথে এগোবে না। সত্য উদঘাটনের জন্য, এই কমিটি তৈরি হয়েছিল যার নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। অতয়েব উপরতলায় যেতে হবে।' মূলত সিবিআইয়ের এফআইআরে ১ নম্বরে শান্তিপ্রসাদ সিন্হা। সিবিআইয়ের এফআইআরে ৪ নম্বরে অশোক সাহা। শান্তিপ্রসাদ-অশোক সাহার বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। 'তদন্তে বিভ্রান্ত' করার অভিযোগে গ্রেফতার এসএসসি-র ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা। উল্লেখ্য, হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহার।   ৪ বার জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন তাঁদেরকে গ্রেফতার করে সিবিআই।


আরও পড়ুন, 'এটা হিমশৈল-র চূড়ামাত্র', নিয়োগ-দুর্নীতিতে সিবিআই-র প্রথম গ্রেফতারে বিস্ফোরক শুভেন্দু


প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সদ্য হওয়া বৈঠকের পর ব্রাত্য বসু বলেন,' নিয়োগের কিছু আইনি দিক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এর জন্য আরও পোস্ট তৈরি করতে হবে। এই পোস্ট তৈরি করতে অর্থ দফতরের অনুমোদন লাগবে। ক্যাবিনেটের অনুমোদন লাগবে।মুখমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। আমরা এসএসসিকে বলেছি, এদের দাবি অনুযায়ী কত অতিরিক্ত পোস্ট তৈরি করার দরকার সেটি খতিয়ে দেখতে। পোস্টের সেই সংখ্যাটা আমরা এসএসসি বলেছি, যত তাড়াতাড়ি পারেন, আমাদের দিন।' অপরদিকে, আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, 'বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে সবার চাকরি হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল,'মেধাতালিকায় থাকা সকলের চাকরি হতে হবে। সেইভাবেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শহীদুল্লাহ আরও বলেন, 'মেধাতালিকায় নাম থাকা একজনও যেনও বঞ্চিত না হয়, আলোচনা সদর্থক হয়েছে। ৬ হাজারের মধ্যে ২১৫৯টি সিট তৈরি করা আছে।' তবে আন্দোলন আরও এগিয়ে যাবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ ধর্না-অবস্থান চলবে। সকলের নিয়োগপত্র পেলেই আন্দোলন বন্ধ হবে।' আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, প্যানেলে অসঙ্গতি আছে, সবাই নিয়োগের যোগ্য। আরও একটু ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। তাঁদের আশা সবারই চাকরি হবে।'