বীরভূম: হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু (Lalan Sheikh Death), সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। কলকাতায় সিবিআইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড অজয় ভাটনাগর। রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) ঘটনা নিয়ে কলকাতার অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের সামনের বিক্ষোভ নিয়েও খোঁজ নিয়েছে দিল্লি (Delhi)।


হেফাজতে লালনের রহস্যমৃত্যু, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এবার তদন্তে নামল সিআইডি। স্বামীর রহস্যমৃত্যুতে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন লালনের স্ত্রী। রামপুরহাট থানা থেকে কাল কেস ডায়েরি নেবে সিআইডি।  বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই থমথমে বগটুই গ্রাম।  অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বগটুইকাণ্ডে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ির সামনেও সক্রিয় পুলিশি প্রহরা রয়েছে। রামপুরহাট হাসপাতালে হবে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই ও সিআরপিএফ-এর টিম। লালন শেখ গ্রেফতার হওয়ার আগেই তার বাড়ি আগেই সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় বগটুুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, লালন আত্মঘাতী হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লালনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মৃত্য়ু? উঠছে প্রশ্ন!


উল্লেখ্য, সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প ঘিরে লালন-ঘনিষ্ঠদের বিক্ষোভ। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিক্ষোভ, জাতীয় সড়ক অবরোধ। সিবিআইয়ের হেফাজতে খুনের অভিযোগে লালন-ঘনিষ্ঠদের বিক্ষোভ। সিবিআইয়ের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা। খুন ছাড়াও তোলাবাজি, হুমকি-সহ একাধিক ধারায় লালনের স্ত্রীর মামলা। সিবিআইয়ের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের। খুন নয়, আত্মহত্যা, পুলিশের কাছে দাবি সিবিআইয়ের, খবর সূত্রের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। 'হেফাজতে লালনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর দিতে হবে সিবিআইকে'। সিবিআইয়ের এত স্মার্ট হলে কীভাবে ঘটল এধরনের ঘটনা ? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee)। 


আরও পড়ুন, 'আমাকে দেখে অনেকে মর্নিং ওয়াক করছেন', শুভেন্দুর কটাক্ষে পাল্টা দিলীপ


এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, রহস্যমৃত্যুর তদন্ত হবে না ? বিরোধীরা চায় কী, যে তদন্ত হবে না ? ওরা যখন কোনও ইস্যু নিয়ে হইচই করবে, তখন সিবিআই, ইন্টারপোল, মঙ্গলগ্রহ সব এজেন্সি আসবে। আমরা তো পরিষ্কার বলছি, সিবিআই-র বহু যোগ্য ভাল অফিসার আছেন, কিন্তু সিবিআই-কে মিসইউজ করছে বিজেপি। যদি শুভেন্দু অধিকারী চিৎকরে করে বলেন, অমুকের বাড়ি সিবিআই যাবে, সিবিআই অমুককে ধরে আনবে। তাতে তো মানুষের ধারণা হবে সিবিআই-কে চালাচ্ছে বিজেপির এই দলবদলুর চোর চিটিংবাজ ! ফলে সিবিআই অফিসারদের যে ক্রেডিবিলিটি , সেটাকে তো আমরা সম্মান করি, সেটাকে তো ধুলোয় লুটিয়ে দিচ্ছে বিজেপি !