রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) হুঁশিয়ারি হোক বা প্রশাসনিক অভিযান, বালি মাফিয়ার (Sand Mafia) দৌরাত্ম্য চলছেই। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোটে বৈধ ঘাটেই অজয় থেকে চলছে বালি পাচার। পাইপলাইনের মাধ্যমে মাঝ নদী থেকে জল সহ বালি তুলে তা কিনারায় জড়ো করা হচ্ছে। দিনের আলোয় অবাধে চলছে বালিচুরি।                                                                                                  


অভিযানের পরেও বালিচুরি!


এপার থেকে ওপার, নদীতে ফেলা হয়েছে পাইপলাইন। নদীর বুকে ভাসমান নৌকায় রাখা হয়েছে মোটর। আর সেই মোটরের সাহায্য়ে মাঝনদী থেকে বালি সহ ঘোলা জল তুলে এনে ফেলা হচ্ছে ওপরে। পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মাটি কাটার মেশিন সেই স্তূপীকৃত বালি নিমেষে তুলে ফেলছে। প্রকাশ্যে, এভাবেই মাঝ নদী থেকে বালি পাচার চলছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে! আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, পুরো বেআইনি কাজটাই হচ্ছে বৈধ বালিঘাট নতুনহাটে! 


গত শুক্রবারই বালি পাচারের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলকোটের নতুনহাট বালিঘাট পরিদর্শনে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসনের বড় টিম। সেদিন অবশ্য কোনও পাচারকারীকে দেখা যায়নি। মাঝ অজয় থেকে যেখানে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে, তার কাছেই রয়েছে লোচনদা সেতু। শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখে সেতুর পিলারের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন মঙ্গলকোট ব্লক অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার।                                                                                                                                                    


এক সপ্তাহও কাটেনি। প্রশাসনিক অভিযানের পরেও দেখা গেল, বালিপাচার চলছে রমরমিয়ে। কাটোয়ার মহকুমা ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেদিন চালু ছিল না। এখন শুনছি বালি তুলছে। আমরা আধিকারিককে পাঠিয়েছি দেখার জন্য। প্রয়োজনে সব মেশিন সিজ করা হবে।'


আরও পড়ুন: Bogtui Case: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নামল সিআইডি


বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে গত বছরই নতুন ‘স্যান্ড মাইনিং পলিসি' ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পরেও বন্ধ হয়নি বালিপাচার।