কলকাতা: আবাস, ১০০দিনের কাজের পরে এবার মিড ডে মিলের 'অনুসন্ধানে' কেন্দ্রীয় দল। রাজ্যের মিড ডে মিলের হাল খতিয়ে দেখতে  ১১জনের প্রতিনিধি দল (Cntral Team)। পুষ্টি থেকে মিড ডে মিলের খাবারের মান-সহ ৩২টি দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।  মিড ডে মিলের (Midday Meal) হাল থেকে ফান্ডের অনুসন্ধানে ৪ জেলায় যাওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় দলের (Central Team) সঙ্গে থাকবে রাজ্য সরকারেরও একজন প্রতিনিধি।


গতকাল ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। গড়াইমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ডোমকলের গ্রামে গ্রামে ঘুর দেখেন ২ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি মালদাতেও সফর করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক ২ সদস্যের কেন্দ্রীয় দলের। এর আগেও এই জেলায় পরিদর্শনে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যের নানা জেলা থেকে বারবার উঠে এসেছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। কখনও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। কখনও আবার আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। যখন মালদায় কেন্দ্রীয় দল ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসেছে, তখনই মালদা জেলায় সামনে এলে ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত আরও একটি অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁরা ঘর পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। যাঁরা ঘর পাননি তার পিছনে কী কারণ তাও খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। 


মালদায় ডিএম অফিসে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করে আবাস যোজনার নথিপত্র খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির (PMAY Scam) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল (Central Team)। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়েই, ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকে, বিডিও অফিসের সামনে, বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কোনওক্রমে ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পরে, বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির গুচ্ছগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নাম তাতে যেমন জড়িয়েছে, তেমনই কোথাও কোথাও আঙুল উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও। এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবিরও। গ্রামবাংলার ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ! বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। গত কয়েকমাসে বাংলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের নেতা কিংবা আত্মীয়দের।


আরও পড়ুন, 'কাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, বুঝতে হবে', ISF ইস্যুতে বলেন শুভেন্দু, বিস্ফোরক ফিরহাদ


বাঁকুড়ার ঘুটগড়িয়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘেরাও করা হয় বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে। একই দিনে তৃণমূল পরিচালিত মেজিয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন জমা দিল জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুরুলিয়ায় বিজেপি-শাসিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও উঠল আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ। আবাস তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে রামচন্দ্রপুর কোটালডি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম।