কলকাতা: ISF-র বৈঠকে ব্রাত্য তৃণমূল-বিজেপির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু-ফিরহাদদের। নৌশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui) গ্রেফতারির প্রতিবাদে এবার বৈঠকের ডাক দিল আইএসএফ, বৈঠকে সিপিএম ও কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ করা হলেও, ডাকা হয়নি তৃণমূল-বিজেপিকে। এদিকে ভাঙড়কাণ্ডের জেরে যখন উত্তাল হয়েছিল কলকাতা, সেদিন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর সেই গ্রেফতারির দিনই নৌশাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যার হয়ে বললেন, তার দলই শেষে ডাকল না বিজেপিকে। শাসকদলের ব্রাত্য হওয়ার তালিকায় কী করে ঠাঁই হল গেরুয়া শিবিরেরও, চাপানউতোর চারিদিকে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
মুসলিমরাই তো মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, কাকে এনেছে দেখুক : শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'পীরজাদারই তো , মানে বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলমানেরাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, হিন্দুভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়নি। পায়নি মানে, আমি পুরোটা পায়নি, মুসলিমরাই এনেছে, কাকে এনেছে এবার দেখুক। টুপি খুলে, টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে, এটা ওদেরকেই বুঝতে হবে, আমার বোঝার কিছু নেই। আমি অনেক আগে বুঝেছি বলে, ওনাকে টাটা বাইবাই করে দিয়েছি।'
হুক্কা হুয়া সিবিআই : ফিরহাদ
এদিকে ফিরহাদ হাকিম এই ইস্যুতে জানিয়েছেন, 'পুলিশের কাজ হচ্ছে, যদি ল্য অ্য়ান্ড অর্ডারে সমস্যা হয়, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করে কোর্টে দেওয়া।' এরপরেই বলেন, নৌশাদও ছিলেন।এগুলি আসলে একটা শিয়াল ডাকলে, সব শিয়ালরা ডাকে। এখন সিবিআই শিয়ালরা ডাকছে। এরপর গলার আওয়াজটা একটু নামিয়ে নাকি সুরে ফিরহাদ কটাক্ষ করে উঠলেন, সিবিআই সিবিআই , হুক্কা হুয়া, সিবিআই সিবিআই।' ওদিকে ততক্ষণে হাসির রোল চারিদিকে।
আরও পড়ুন, '২ দিন দিদির দূতকে বেঁধে রাখুন, জল দেবেন না', দিলীপ-মন্তব্যে শোরগোল
ঠিক কী হয়েছিল, কবে হয়েছিল ?
২২ জানুয়ারি, দিনটা ছিল শনিবার। আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। রণক্ষেত্র ধর্মতলা, গ্রেফতার হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। মূলত আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানোকে ঘিরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নৌশাদের ঢালাও প্রশাংসা করে তিনি বলেন, 'নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ভাল মানুষ। তাঁর সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তৃণমূলকে হঠাতে চান নাকি বিজেপির বিরোধিতা করতে চান'।