কলকাতা: ED দফতরে এদিন হাজিরা চন্দ্রনাথ সিংহর। খারিজ হল ED-র আবেদন, বহাল থাকল কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ED-কে অনুমতি দিয়েছে আদালত। আজ ও আগামীকাল তাঁকে ED-র দফতরে উপস্থিত হতে হবে। তদন্তে ED-র দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিচারক। 

আরও পড়ুন, গড়িয়াহাট ITI-তে অন্ধকারেই চলছে ভর্তির কাউন্সেলিং ! দুর্যোগের ৪৮ ঘণ্টা পরেও বিদ্যুৎহীন বালিগঞ্জের একাংশ

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ করে ED। এনিয়ে ED-র বিশেষ আদালতে শুনানি শেষ হয় শনিবার।শুনানিতে কারামন্ত্রীকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য় জোরাল সওয়াল করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।শেষ অবধি চন্দ্রনাথ সিংহর ভাগ্য়ে কী রয়েছে? ED কি তাঁকে হেফাজতে পাবে? নাকি কারামন্ত্রী বাইরেই থাকবেন? তা নিয়ে চড়ছিল জল্পনা-গুঞ্জন। এই অবস্থায়, বুধবার ED-র বিশেষ আদালতে বিচারক নির্দেশে বললেন,চন্দ্রনাথ সিংহকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না ED.ED-র তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিচারক। প্রায় দেড় বছর আগে, ২০২৪-এর ২২শে মার্চ চন্দ্রনাথ সিংহর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধারের দাবি করেছিল ED তারপর, চার্জশিট জমা দেয় তারা। বুধবার বিচারক প্রশ্ন করেন, টাকা উদ্ধারের পর থেকে চার্জশিট দিতে এত দেরি কেন হল ED-র?

বিচারক আরও বলেন, ED হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ওপর গুরুত্ব দিলেও, তদন্ত দ্রুত শেষ করতে যথেষ্ট পদেক্ষপ করেনি। তল্লাশিতে টাকা উদ্ধারের এতদিন পর চার্জশিট জমা দেওয়ার বিষয়টি, হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের যুক্তিতে সায় দেয় না। মনে হয় না যে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও প্রয়োজন আছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ED-কে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।২৫ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর, কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে ED-র দফতরে উপস্থিত হতে হবে।ED তাঁকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।প্রয়োজন মনে করলে, তারপরও তাঁকে ডাকা যেতে পারে। চন্দ্রনাথ সিংহর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ অধিকারী বলেন, ৭ দিনের যে ED-র হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল, সেটা খারিজ করা হয়েছে।কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর নথি জমা না দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক। তৃণমূল বিধায়ক ও কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, 'আমি প্রথম থেকে সহযোগিতা করে এসেছি। নথি তো আমাকে যেটা চেয়েছিল, আমি সবই দিয়েছি। কালকে আমি যাই, তাঁরা কী চাইছেন দেখি। আমি জানি না যে আমি কী অন্যায় করেছি? হয়তো টেকনিক্যাল কিছু ভুল থাকতে পারে। আমার পরিবারের যে জমি আছে, সেটা আমার পরিবারের। পরিবারের বাইরে কোনও জমি আমি বলিনি। পরিবারের বাইরেও আমি জমি চাষ করি, কিন্তু সেগুলো আমি বলিনি।'