কলকাতা: বেহালার বাড়িতে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রলয় বসুর দেহ উদ্ধার ! পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেসনে ভুগছিলেন তিনি। বেহালার বাড়ি থেকেই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আগে এম আর বাঙুর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। চাকরি ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন ।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূলকে পুরষ্কৃত করা উচিত..' ! কটাক্ষ সুকান্তর ; 'এমন আন্তর্জাতিক কর্মী কোন পার্টির আছে ?'
সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আর জি কর আন্দোলনেও অংশ নেন চিকিৎসক প্রলয় বসু। তবে ঠিক কী হয়েছিল ? কেন এভাবে মৃত্যু হল ? কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছিল কিনা ? যদি তিনি ডিপ্রেসনেই ছিলেন, তার আসল কারণটা কী ? বলার অপেক্ষা রাখে না, তার মৃত্যু শোকস্তব্ধ পাড়া-প্রতিবেশিরা। একসময় যিনি আরজিকরের আন্দোলনে অভয়ার বিচার চাইতে পথ হেঁটেছিলেন, তাঁকে কেন এভাবে চলে যেতে হল, প্রশ্ন উঠেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্ট এলেই প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আসবে।
প্রসঙ্গত এদিনই আবার, আর জি করের চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনার ১০ মাস পার। বিচারের দাবিতে রাজপথে প্রতিবাদের গর্জন। টালা থানা থেকে মিছিল আর জি কর হাসপাতালের সামনে আসতেই ঢুকতে বাধা পুলিশের। পরে অবশ্য আন্দোলনকারীদের চাপে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয় অভয়ামঞ্চের সদস্য়দের। হাসপাতালে অভয়ার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। দশ মাস আগে এক ৯ তারিখে, ঘটে গেছিল সেই বীভৎস ঘটনা। আর জি মেডিক্য়ালে কর্তব্য়রত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুন। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় দোষী সাব্য়স্ত হয়েছে। আমৃত্য়ু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু, দোষী কি সঞ্জয় রায় একা? নাকি আরও কেউ? সেই প্রশ্নের উত্তর আজও অধরা।
এই পরিস্থিতিতে আর জি কর-কাণ্ডের দশ মাস পর, অভয়া মঞ্চের ডাকে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল রাজপথে। যে টালা থানার ভূমিকা নিয়ে গোড়া থেকে প্রশ্ন উঠেছিল। যে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছিলেন।সেই টালা থানার সামনে পুলিশ ও সিবিআইয়ের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে চলল প্রতিবাদ। আয় প্রশাসন দেখে যা, জনগণের ক্ষমতা। এরপর অভয়া মঞ্চের মিছিল এগোয় আর জি কর হাসপাতালের দিকে। আর জি কর হাসপাতালের গেটের সামনে মিছিল পৌঁছতেই, গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভয়া মঞ্চের সদস্যরা।অভয়া মঞ্চের এক সদস্য বলেন, আমাদের মেয়ের যে মূর্তি আছে সেখানে আমরা একটু ফুল দেব বলে এসেছিলাম। আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই হাসপাতাল আর সাধারণ মানুষ, চিকিৎসকদের জন্য থাকছে না। যদিও প্রায় ঘণ্টা খানেক বচসার পর অভয়ামঞ্চের সদস্যদের ভিতরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়। হাসপাতালে অভয়ার প্রতীকী মূর্তিতে মাল্য়দান করেন তাঁরা।