কলকাতা: বেশিরভার মানুষই গৌরী খানের (Gauri Khan) পেশা হিসেবে ইন্টেরিয়ার ডিজাইনিং বা গৃহসজ্জাকেই জানেন। তবে শাহরুখ পত্নীর একটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁও রয়েছে। সেই কথা জানেন না অনেকেই। সেই রেস্তোরাঁর নাম 'টোরি'। সদ্য এই রেস্তোরাঁর নাম শিরোনামে উঠে এসেছিল। একটি বিতর্কের কারণে। এক ইউটিউবার দাবি করেছিলেন, গৌরী খানের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় নাকি নকল পনির ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। রেস্তোরাঁর তরফ থেকে একটি বিবৃতিও পেশ করা হয়েছিল। আর এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ। তিনি জানিয়েছেন, নকল পনির নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে আদপে রেস্তোরাঁর বিক্রি বেড়েছে।

নকল পনির বিতর্কে 'টোরি'-র প্রধান শেফের বক্তব্য

সদ্য দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে 'টোরি'-র প্রধান শেফ স্টিফেন গাদিত নকল পনির বিতর্ক নিয়ে স্পষ্ট কথা বলেছেন। তিনি বলেন- 'আমরা ভিত্তিহীনভাবে কোনও জিনিসের দিকে আঙুল তুললে, তার একটা প্রভাব পড়ে। আমরা জানি যে আমরা খাবারের যে গুণমান বজায় রাখি, তা সেরা। আমাদের চিন্তা করার কোনও কারণ ছিল না। আমরা বিবৃতি দিয়েছিলাম যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন ব্যাপারটা কীভাবে হয়।' তিনি আরও বলেছেন, 'এখন খাওয়া দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। একটা জিনিসের সঙ্গে একটা জিনিস মিশিয়ে ৪ বছর ধরে পরীক্ষা চলছে। আমরা ওই ভদ্রলোককে বুঝিয়ে বলেছিলাম। উনি সবটা বুঝতে পেরেছিলেন। পরে উনি ওনার পোস্টটিও সরিয়ে নিয়েছিলেন।

নকল পনির বিতর্কে আখেরে লাভ রেস্তোরাঁর!

শেফ স্টিফেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে নকল পনির বিতর্কের কারণে রেস্তোরাঁর কী প্রভাব পড়েছিল, তখন তিনি জানান যে এতে তাঁদের লাভ হয়েছে। তিনি বলেন- 'এতে আমাদের ব্যবসা বেড়েছে এবং ইনস্টাগ্রামে আমার ২০-৩০ জনের বেশি ফলোয়ার বেড়েছে, তাই আমি বলব যে এটা একটা আশীর্বাদ ছিল।'

কী ছিল বিতর্ক?

ভাইরাল হয়ে যাওয়া ইনস্টাগ্রাম রিলে দেখা গিয়েছিল ওই ইউটিউবার রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা একটি পনিরের টুকরোতে আয়োডিন লাগিয়ে দিচ্ছেন, যা প্রায়শই স্টার্চের উপস্থিতি শনাক্ত করতে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। আয়োডিন লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই পনির নীল কালো হয়ে যায়, যা তিনি ভেজালের লক্ষণ বলে দাবি করেন। রঙের পরিবর্তন দেখে ওই ইউটিউবার বলেছিলেন, 'শাহরুখ খানের রেস্তোরাঁয় নকল পনির পরিবেশন করা হচ্ছে। এটা দেখে তো আমার প্রায় মাথা ঘুরে যাচ্ছিল'।