জয়ন্ত পাল,বিধাননগর: রাজ্যে ফের ফিরে এসেছে  ডেঙ্গি আতঙ্ক। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে  ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে। এরইমধ্যে  ডেঙ্গি প্রতিরোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তার পরেই পথে নামল বিধাননগর পুরনিগম।


 ফের শহরে ডেঙ্গু আতঙ্ক,  মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই পথে নামল বিধাননগর পুরনিগম


সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনের বিধাননগর পুরনিগমের অর্জুনপুর, দেশবন্ধু নগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু সচেতনতা যাত্রা করা হয় বিধাননগর পুরনিগমের তরফে। সচেতনতা যাত্রায় বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ মেয়র পরিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা পা মেলান।  ডেঙ্গি সচেতনতা ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে এই পদযাত্রা করা হয়। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে চলতি বছরে বিধান নগর পুরনিগম অঞ্চলে  ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা  লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিগত কয়েকদিনে  ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পরেই ময়দানে নামে বিধাননগর পুরনিগম। এদিন মশারি টাঙিয়ে ডেঙ্গু বিরোধী বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে ও  ডেঙ্গি থেকে কী করে রক্ষা পাওয়া যায় সেই সমস্ত বার্তা নিয়ে।


 আরও পড়ুন, 'শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ?', 'সিবিআই সেটিং' নিয়ে বিস্ফোরক শান্তনু


মানুষকে সচেতন হতে হবেঃ বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী


বিধাননগর পুরনিগমের এই অভিযান নিয়ে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, তাঁরা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পদযাত্রা করছেন। মানুষকে সচেতন হতে হবে।উল্লেখ্য, শহরে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কালীঘাটে এক বালকের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে।  জ্বর হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিশাখ মুখোপাধ্যায়ের।  ‘জল জমিয়ে রাখছেন অনেকে। সচেতনতার অভাব আছে’, বালকের মৃত্যু নিয়ে এমনই দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরের।এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলে একাধিক বাড়ি পড়ে রয়েছে যেখানে কোনও বাসিন্দা নেই। ওইসব বাড়িতে জঞ্জাল পড়ে থাকে ও সেখান থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর আরও বলেন, 'অনেক বাড়ি রয়েছে। শরিকি বাড়ি, আইনি লড়াই চলছে। সেখানে গাছ কাটা হচ্ছে না। সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। জল জমছে। সেই বাড়িগুলিতে ঢুকতে পারছি না আমরা। নোটিস দিলেও অ্যাক্সেস মিলছে না।' তাঁর কথায় এর থেকে বাড়ছে মশার উপদ্রব।


শহরবাসীকে সচেতনতার বার্তা


কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৩৫২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে সচেতনতার বার্তা দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। ডেঙ্গি প্রতিরোধে যে পুরকর্মীরা কাজ করেন, তাঁদের নিয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিলেন ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান। অন্যান্য জেলা থেকেও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবর আসছে। গত সপ্তাহেই হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত যুবকের। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। মৃতের বাড়ি হাওড়া পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে। পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন, পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।