কলকাতায় আজকের আবহাওয়া (Weather): ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের দিকে গত কালই সরে গিয়েছে নিম্নচাপ। এবার কী রকম থাকবে মহানগরের আবহাওয়া? কী বলছে পারদের ওঠানামা? মহানগরে (Kolkata)আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল (minimum temperature) ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে .২ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামিকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ সাধারণত মেঘাচ্ছন্ন থাকার কথা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের নাড়াজোলে টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে শিলাবতী নদীর জল। জলের তোড়ে এদিন অস্থায়ী কাঠের সেতু ভেঙে পড়ায় বিপত্তি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দাসপুর, ঘাটাল ও চন্দ্রকোণার ১০-১২টি গ্রাম। সমস্যায় কয়েকহাজার গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার আশ্বাস পঞ্চায়েতের।
বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে এই সপ্তাহের গোড়া থেকেই ছবিটা খানিক বদলাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে কি মহানগরের বৃষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে এই মরসুমে? সংশয় থাকছে।
ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।
আপেক্ষিক জলবায়ু: মহানগরের জলবায়ু অনেকটা উপক্রান্তীয় অঞ্চলের মতো। মোটের উপর বছরভরই উষ্ণ থাকে এখানে। গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১ হাজার ৬২৫ মিলিমিটার যার বেশিরভাগই জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষার মরসুমে দেখা যায়। এই সময়টাই বাতাসে আর্দ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। অক্টোবর ও নভেম্বরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসে।
আরও পড়ুন:'অভিজিৎ-র মতো অবস্থা হবে', হুমকি নারকেলডাঙার পরিবারকে, কে এই অভিজিৎ ?