কলকাতা: রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ইস্যুতে পুজো মাঝে বিষাদের দৃশ্য উঠে আসছে। অনেকেরই চোখে জলব। সন্তানকে কথা দিয়েছেন অনেকেই, চাকরি পেলে নতুন পোশাক কিনে দেবেন, ক্যামেরার সামনে বলে অনেক চাকরিপ্রার্থীরই গলা ভিজে আসছে। এই ইস্যুতে সরব দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিককালে পোস্টও করেছেন একাধিক। আর এবার আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বার্তা দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল সরকার চাকরি দেবে না, দিলে আদালত দেবে। চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইকে সম্মান জানালেও, অনুরোধ পুজোয় পরিবারকে সময় দিন।' মূলত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে তলব এবং পার্থ গ্রেফতারের পর এমনিতেই এই প্রতিবাদ আরও দিন দিন জোরালো হয়ে উঠছে। এদিকে এহেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বামেদের চাকরি ইস্যুতে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা, এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চে এসে প্রতিক্রিয়া দেন সুজন। এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চে এসে সরব হন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ' ধর্ণায় বসে আছেন বাংলার ভবিষ্যতের মাস্টার মশাইয়েরা। যাদের পরিচয় হবার কথা ছিল মাস্টারমশায়, তাঁরা এখন রাস্তায় বসে আছে, এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না। অনুব্রত-র টাকা, তোমাদের বঞ্চনার টাকা। তোমরা যোগ্যতা টানা এই লড়াইটা পালন করে যাচ্ছ।আমি তোমাদের স্যালুট জানাই। আমাদের সমাজের যারা বড়ো, যারা সমাজ চালাচ্ছে, তাঁদের অপরাধের কথাটা তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আসাটাই মূল উদ্দেশ্য।'
আরও পড়ুন, পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা, আজ কেমন আবহাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ?
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে নতুন করে প্রাথমিকে টেট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মধ্যেই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রের খবর, পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক করতে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন পর্ষদ সভাপতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সেপ্টেম্বরে টেট নেওয়া যাচ্ছে না, জানায় পর্ষদ। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে অ্যাডহক কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হবে প্রাথমিকে টেট। তৃণমূল আমলে এর আগে তিনবার টেট হয়। ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষা নেয় পর্ষদ। এই টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এই আবহে নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। নতুন সভাপতি এবং অ্যাডহক কমিটি আসার পর বৈঠক হয়।পরীক্ষার দিনক্ষণের ইস্যুতে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, ওইদিন সুপারিশ করা হয় অ্যাডহক কমিটির তরফে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, টেট নিতে হবে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন করতে পর্ষদ পারছে না, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্টকে। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে, ১৮৫ জনকে সুপারিশপত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।