কলকাতাঃ কলকাতা পুলিশের নোটিশের পরেও এলেন না ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর। জনস্বার্থ মামলার নামে তোলাবাজির অভিযোগে রাঁচির আইনজীবী গ্রেফতারের (Ranchi Lawyer Arrest Incident) ঘটনায় এবার কলকাতা পুলিশের নজরে আসেন ইডি-র আধিকারিক (ED)। ওড়িশায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর সুবোধ কুমারকে নোটিসও পাঠানো হয়। তবে শেষ অবধি এলেন না ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর।
কলকাতা পুলিশের নোটিশের পরেও এলেন না ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর
পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজারকে ইমেল করে ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর সুবোধ কুমার জানিয়েছেন, ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত ছুটিতে আছেন। তাই এখনই হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হচ্ছে ইডি-র ? প্রসঙ্গত, রাজ্য-কেন্দ্র-র একাধিক ইস্যুতে সংঘাত দেখেছে বাংলা। তা সে রাজ্য পুলিশ-সিআইডি-র সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হোক, কিংবা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ইস্যুই হোক। যদিও এই ইস্যুতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন , 'এটাও বিচারধীন মামলা, বিচারকরা দেখবেন। আমি কোনওদিন এটা দেখিনি, একটা রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে তদন্তে গেলে কেউ আটকায়।'
আরও পড়ুন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধু চাই', অনুব্রত ইস্যুতে বিস্ফোরক সুজন
ঘটনার শুরু ১ আগস্ট, গ্রেফতার হন রাজীব কুমার, কলকাতা পুলিশের নজরে আসেন ইডি-র আধিকারিক
মূলত ঘটনার শুরু ১ আগস্ট। কলকাতার একটি শপিং মল থেকে গ্রেফতার হন রাজীব কুমার। অভিযোগ, জনস্বার্থ মামলা করে , সেটা তুলে নেওয়ার জন্য টাকা দিতে চাপ দিতেন তিনি। সূত্রের খবর, এমনই একটি চক্র চালাতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই আইনজীবী। এদিকে তার কাছ থেকে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায় বলে খবর। রাঁচিতে রাজীব কুমারের বাড়ি, অফিস-সহ ৩টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। সেখানেই কালো ডায়েরি মেলে, খবর ইডি সূত্রে। টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে ওই ডায়েরিতে, দাবি পুলিশের। রাজীবের রাঁচিতে তিনতলা বাড়ি ছাড়াও ১৬টা ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। নয়ডা, গ্রেটার কৈলাসেও ওই আইনজীবীর ফ্ল্যাট-অফিসের খোঁজ মিলেছে। কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তি এবং অর্থের উৎস কী? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশের নজরে আসেন ইডি-র আধিকারিক। আর তারপরেই ঘটনা মোড় নিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি।