প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নববর্ষের সকালেই ম্যারাথন তল্লাশি ইডির। অনুপ্রবেশকারী ধরতে কলকাতা থেকে জেলা, অভিযানে ED। কলকাতা থেকে নদিয়ার গেদে সীমান্ত পর্যন্ত ৮ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিরাটি, বেকবাগান থেকে গেদে, দিকে দিকে তল্লাশি ED-র । ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু, অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে ED অভিযান।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, পেশায় বিড়ি শ্রমিক, মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো দেড় লক্ষ টাকার জিনিস লুঠ, ওয়াকফ অশান্তিতে সর্বস্বান্ত মা..

Continues below advertisement

বাংলাদেশ থেকে এসে ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়ে রাজ্যে বসবাস। অনুপ্রবেশকারী ধরতে এবার অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতা থেকে নদিয়ার গেদে সীমান্ত পর্যন্ত ৮টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ED. কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, বিরাটি এলাকায় এক ব্যক্তির হদিশ মিলেছে। বাংলাদেশ থেকে আসা ওই ব্যক্তির একাধিক নামে পাসপোর্ট রয়েছে বলে ED-র দাবি। বেকবাগানে এক এজেন্টের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। নদিয়ার গেদে সীমান্তেও অনুুপ্রবেশকারী ধরতে হানা দিয়েছে ED. ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করে এবার অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

প্রসঙ্গত, গতমাসে প্রকাশ্যে এসেছিল আরও একটি ঘটনা। বাংলাদেশের বাসিন্দা ভৃগুরাম দাসের নাম শুধু বাংলার ভোটার তালিকাতে নয় ,রয়েছে তাঁর নামে রেশন কার্ডও। মাসে মাসে রেশন উঠছে তাঁর নামে। রেশন কার্ডে তাঁকেই পরিবারের হেড দেখানো হয়েছে।বাংলাদেশে থেকেও প্রতিমাসে তিন কেজি চাল ও ২ কেজি আটা পান ভৃগুরাম। তার ছেলের বক্তব্য বাবার নাম রেশন কার্ড থেকে কাটার জন্য তিনি আবেদন করবেন। অন্যদিকে রেশন ডিলারের বক্তব্য ভিগুরাম দাস এর পরিবারের সদস্যরা রেশন সামগ্রী তুলে নিয়ে যায়, তবে তিনি এবার খাদ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানাবেন। পূর্বস্থলী কালেখাঁতলার এম আর নম্বর ১৩৮ শপের রেশনের গ্রাহক ভৃগুরাম দাস। পাঁচ সদস্যের রেশন কার্ডে হেড দেখানো রয়েছে ভৃগুরামকে।

কোথাও ভোটার আছে, নাম নেই! কোথাও নাম আছে, ভোটার নেই! বিধানসভা ভোটের একবছর আগে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে কাণ্ড! কিনতু, এই ভূতুড়ে ভোটাররা কারা? তা নিয়েই সমমুখ সমরে নেমেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। বিজেপির দাবি, এই ভূতুড়ে ভোটারদের সিংহভাগই আদতে অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা। যাদের নাম তালিকায় ঢোকাচ্ছে তৃণমূল।

অন্য়দিকে, তৃণমূলের দাবি, ভূতুড়ে ভোটারদের সিংহভাগ ভিন রাজ্য়ের। বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে যা করাচ্ছে। মঙ্গলবারও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে অমিত মালব্য় অভিযোগ করেছেন, অবৈধ ভোটার, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের বড় অংশকে পশ্চিমবঙ্গে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাল্টা কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এসে, দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এপিক কার্ডে দেখা যাচ্ছে হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার নাম।