কলকাতা: কয়লাপাচার মামলায় (Caol Scam) এবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে তলব। তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে (TMC Leader) ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে তলব ইডির। সূত্র মারফত খবর, লালার ডায়েরি ও আর্থিক লেনদেনের তথ্যের ভিত্তিতে তলব।


প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারকাণ্ডে আগেই নাম জড়িয়েছে একাধিক নেতার। নাম জড়িয়েছে সস্ত্রীক অভিষেকের। কয়লাপাচার মামলার ইস্যুতে ডেকে পাঠানো হয় তার শ্যালিকাকেও। কয়লা পাচারকাণ্ডে পুজোর আগে অভিষেক তলব করে ইডি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পুজোর আগে। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গতবছরের ৬ সেপ্টেম্বর এবং এবছরের ২১ মার্চ। দু’বারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দিল্লিতে, ইডি’র সদর দফতরে। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে, তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এবছরের ১৪ জুন ফের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২৩ জুন আবার ইডি’র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন রুজিরা। সন্তানকে কোলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। 


প্রসঙ্গত, পুজোর আগে রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।  বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে রেখে  সুকান্ত মজুমদার বলেন,'ডিসেম্বরেই সরকার পড়তে পারে। ' মূলত, তাঁর যুক্তি, ইতিমধ্যেই টাকা উদ্ধারকাণ্ডে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী যোগ প্রকাশ্যে এসেছে।  প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।  রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির মামলায় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। জেল থেকে তেমন কেউ ছাড়া পাননি। অধিকাংশই এখনও জেলেই, বলে দাবি সুকান্ত-র।  এহেন পরিস্থিতিতেই, 'জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও ' বিস্ফোরক দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই যদি জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার ? প্রশ্ন তুলেই , তিনি বলেন 'সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।'


আরও পড়ুন, প্রেমিকার পাশে ওড়নার ফাঁস লাগানো যুবকের দেহ উদ্ধার, সল্টলেকের গেস্টহাউসে রহস্যমৃত্যু


এদিকে রাজ্যে কয়লাপাচার মামলা চলাকালীন আরও একাধিক পাচারের ঘটনা উঠে আসছে প্রকাশ্যে। অক্টোবারের শেষে, কয়লা ‘পাচার’ ফের বেআইনি কয়লা পাচারচক্রের পর্দাফাঁস। পাচারের আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৪০০ কেজি কয়লা ও ৮টি মোটরবাইক আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৭ জন পাচারকারীকে।  নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার একের পর এক ইস্যুতে তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে! তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গ্রেফতার হচ্ছেন হেভিওয়েটরা। কিন্তু, তারপরও কি পাচার বন্ধ হয়েছে? ফের এই প্রশ্ন উঠল  অনুব্রত ম্ডলের খাসতালুকের এই ছবি দেখে বীরভূমে ফের কয়লা পাচার অভিযোগে শুরু শোরগোল! বাইকের ওপর বস্তার পাহাড়। এক একটি বাইকে প্রায় কয়েকশো কেজি কয়লা! পুলিশের নজর এড়াতে এভাবেই বাইকে হাজার হাজার কেজি কয়লা পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।