কলকাতা: ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ইএম বাইপাসের মেট্রোপলিটন সংলগ্ন বেশ কিছু ঝুপড়িতে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১৫ থেকে ২০ টি ঝুপড়ি।

গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় আগুন আরও বিধ্বংসী রূপ নেয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের সঙ্গে আগুন নেভাতে সাহায্য করে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। সম্প্রতি নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ড ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নারকেলডাঙা অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের। ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই ব্যক্তির। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ৩০-র বেশি ঝুপড়ি। ৩৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সচিন সিংহ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন, ব্যাঙ্ককর্মী ওভাবে হাঁটছে কেন ? মাথায় খেলনা বন্দুক ঠেকানো ! ম্যানেজারের ঘরে 'ডাকবিভাগের কর্মী' ঢুকতেই ..

সেবার মেয়র ঘটনাস্থলে যেতেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, কাউন্সিলর টাকা তুলেছেন। মেয়র এলাকা ছাড়তেই তুমুল অশান্তি। পুলিশের সামনেই দুই পক্ষের মারামারি চলেছিল। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে উঠেছিল চোর স্লোগান। থানার সামনে গিয়ে অবস্থানে বসেছলেন শাসক নেতা। যদিও ফিরহাদ বলেছিলেন, 'কোনও রাজনীতিতে যাব না। আইন অনুযায়ী সব কিছু হবে।'

চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল আস্ত সংসার, নিমেষের মধ্যে মাথার উপরের ছাদ হারিয়েছিলেন, কেউ হারিয়ে ফেলেছিলেন একমাত্র প্রিয়জনকেও। শেষ সম্বলটুকু খুঁজে পাওয়ার আশায় ছাইয়ের গাদা হাত়ড়াচ্ছিলেন কেউ কেউ। নারকেলডাঙায়  পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দা বলেছিলেন,ব্যক্তির বাইট- যে বলছে ৯০টাকা বার করতে পেরেছি। আর কিছু পাইনি। একরাতের মধ্যে যে জীবনটা এভাবে পাল্টে যাবে ভাবতেই পারেননি নারকেলডাঙা খালপাড়ের ঝুপড়িবাসীরা। 

নারকেলডাঙার  পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দা বলেছিলেন, ফায়ার ব্রিগেড আসতে গেলে, যদি হেঁটে আসে ওরা ১০-১৫ মিনিটে চলে আসবে। কিন্তু ওরা এক ঘণ্টা পরে এসেছে, আমরা কিছু বের করতে পারিনি। আমাদের সব পুড়ে গেছে। এই এক্ষুনি বাড়িতে গেছি, পোড়া এটা পেয়েছি। আমার গয়নাগাটি সব পুড়ে গেছে। এটা তো ছোট বাচ্ছাদের।এই আমার ছেলের ছোটবেলার। এই আমার ছেলে, আমরা এক জামায় বেরিয়েছি। আমরা রাত থেকে কিছু না খেয়ে দেয়ে এখানে।দুই মেয়েকে নিয়ে পথে বসেছিলেন ঝুপড়ির আরেক বাসিন্দা। সামনে পরীক্ষা। তার আগে বই-খাতা সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বুক কাঁপছে । তিল তিল করে জমানো কষ্টের সঞ্চয় এখন শুধুই ছাই। দরকারি নথি পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি, দিশেহারা গৃহহীন মানুষগুলো।

(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)