কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমেছে, কিন্তু বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগের ছবি। দীর্ঘ যানজট। এবং তাতে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ১০ দিন বৃষ্টি না হলে , পরিস্থিতির সমাধান হবে।
আরও পড়ুন, বেহাল রাস্তা , '১০০ জনের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হলেই রাস্তা হবে..' ! রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মনের মন্তব্যে তোলপাড়
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেকেই ধরেন ইএম বাইপাস। কলকাতা শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই রাস্তা সর্বদাই মানুষকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে এসেছে। কিন্তু বর্ষায় রাস্তার অবস্থা বেহাল। পিচ সরে ভিতরের ইট বেরিয়ে খানা খন্দ তৈরি হয়েছে, একাধিক জায়গায়। আর জেরেই ছড়িয়েছে যানজট। সায়েন্সসিটি সংলগ্ন আম্বেদকর সেতু বরাবর, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য, কিছু ইট ফেলা হয়েছে রাস্তায়। যাতে অন্তত গাড়ি চলাচলের যোগ্য হয়। এই পরিস্থিতি যে শুধুমাত্র এখানে, তা নয়। বেঙ্গল ক্যামিক্যাল থেকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত সর্বত্রই রাস্তার বেহাল দশা। এই ইস্যুতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, চলতি বছরে বর্ষা অন্যান্য বছরগুলি থেকে অনেক বেশি হওয়ার কারণে, রাস্তার এমন পরিস্থিতি হয়েছে।'
ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ২০ মিনিট। মা উড়ালপুলে দীর্ঘ যানজট (নীচে দেওয়া ছবি)। রাস্তায় জল জমার কারণে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে নিত্য যাত্রীদের। এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ মিলবে কবে ? সাধারণ ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করা শুরু করেছেন। এক বাইক আরোহী বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় জল জমে আছে। রাস্তায় গর্ত, কোথায় গিয়ে ডুবে যাব, পড়ে যাব , বলতে পারছি না। রাস্তার বেহাল দশা। এত জ্যাম। এটা একটু সরকারকে দেখা উচিত।'
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বৃষ্টির ঘনত্বটা প্রচণ্ড। কলকাতার মধ্যে যে রাস্তাগুলির কথা বলছেন, সেই রাস্তাগুলি ব্যবহার হয় বেশি। তাই রাস্তায় আমরা টানেল করতে পারিনি। একবার যদি কোনও রাস্তার ভিতরে জল ঢুকে যায়, সেই রাস্তাটা বসে যাচ্ছে, বৃষ্টিতে পিচ উঠে চলে যাচ্ছে। এটা আমি আবার পুনরায় বলছি, প্রেসের সামনে, ১০ দিন বৃষ্টি না হলে , কলকাতার কোনও রাস্তায় আর খানাখন্দ থাকবে না।' এদিকে এই ইস্যুতে পাল্টা নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'যে সমস্ত খানাখন্দের কথা বলছেন, ওদিকে দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে তাঁরা পাচ্ছেন। একটা সরকার আনন্দঘন মুহূর্ত নিয়ে আসছে। আনন্দে থাকুন, ভাল থাকুন।'