সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের। বাড়িতে এসে মেয়ের প্রাক্তন প্রেমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বাবার। প্রেমিকের মা বাধা দিলে তাঁর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। গ্রেফতার অভিযোগকারীর প্রাক্তন প্রেমিকার বাবা। এন্টালির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে ট্যাংরার শীল লেনের বাসিন্দা পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ওই যুবকের ৫ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সম্পর্ক থেকে সরে আসেন ওই যুবক। অভিযোগ, মেয়ের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় মঙ্গলবার ওই যুবকের বাড়িতে বন্দুক নিয়ে চড়াও হন অভিযুক্ত। যুবকের মাকে রাস্তায় ধাওয়া করে খুনের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। পুলিশের টহলদারি ভ্যানের নজরে পড়ায় অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে এর আগেও বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে, মেয়ের প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে, মেয়েরই বাবার বিরুদ্ধে। গভীর রাতে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ভোলানাথ কর। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র। অপহরণে বাধা দিলে যুবকের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। যুবকের মা বাধা দিলে তাঁর কপালেও বন্দুক ঠেকিয়ে খুনের চেষ্টা করেন, হুঁশিয়ারি দেন। রাস্তায় ধাওয়া করেও যাওয়া হয়। ট্যাংরা থানার পুলিস নাইট পেট্রোলের সময় গোটা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে হাতেনাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। মধ্যরাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন দৃশ্য থেকে স্বভাবতই আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী।
যে যুবকের উপর অভিযুক্ত চড়াও হয়েছিলেন, সেই যুবকের দাবি, ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। এরপর মনোমালিন্য হয়। এবছর মে মাসে মেয়েটিই বেরিয়ে আসে সম্পর্ক থেকে। তারপর থেকে যোগাযোগ ছিল না। দেখা-সাক্ষাৎও হতো না। আচমকাই ঘটনার দিন রাতে প্রাক্তন প্রেমিকার বাবা তাঁর বাড়িতে আসেন। বলতে থাকেন যুবককে কেন্দ্র করেই মেয়ের সঙ্গে বাড়িতে তুমুল অশান্তি হচ্ছে। মেয়ের সঙ্গে তখনই নাকি যুবকের বিয়ে দেবেন, এই কথা বলে যুবককে নিজের সঙ্গে বাড়িতে নিয়ে যেতে চান। যুবক যেতে রাজি হননি। তখনই বন্দুক বের করে শুরু হয় শাসানি। যুবকের দাবি অভিযুক্ত বলেন, 'নিজের মরব। তোমাকে নিয়েই মরব'। যুবকের মা বাধা দিতে আসেন। তাঁকেও শাসান অভিযুক্ত। মেরে ফেলার হুমকিও দেন। বুকে, কপালে বন্দুকে ঠেকান অভিযুক্ত। সেই সময় পুলিশের গাড়ি রাউন্ড দিচ্ছিল। বন্দুক সমেত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তারা।