কলকাতা: শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সল্টলেকের CE ব্লকের ৮৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় আগুন লাগে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায়  দমকলের ২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লাগে বলে খবর। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ির বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ করেছে ওই পরিবার। 

আরও পড়ুন, আজ হাইকোর্টে টেট মামলার শুনানি, প্রমাদ গুনছেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক !

সম্প্রতি সল্টলেকের DA 4 ব্লকে একটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। ঝলসে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।  খবর পেতেই, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস। জানা গিয়েছিল, দেবর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় ব্যবসায়ী। বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তিনি তিনতলার ওই ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। এবং ধূমপান করছিলেন। তাই কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত সাপেক্ষ হলেও, ধূমপানের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল তখন। 'স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল ছিল না। বর সুস্থ অবস্থায় ছিল না। মদ্যপ ছিল,তাই বাইরে বার করা যায়নি', বলে দাবি স্থানীয়দের। 

যখন আগুন লেগেছিল, ওই সময় তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়েও বাড়িতে ছিল।  সেই সময় ডাইনিংরুমে মেয়েকে খাওয়াচ্ছিলেন মা। আগুন লাগতেই তারা কোনওরকমে বেরিয়ে আসতে পারলেও তিনতলার ঘরে আটকে পড়েছিলেন দেবর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিভিয়েছিল। দমকল কর্মীরা তিনতলার ওই ঘরে পৌঁছে দেখতে পেয়েছিলেন, সেখানে সিগারেটের টুকরো পড়ে ছিল।পাশের বাড়িটি ডক্টর সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। যখন আগুন লাগে, সেই সময় তখন সেখানে চেম্বার চলছিল। সেখানে ছুটে গিয়ে খবর দেয় স্ত্রী।

এরপর দমকলে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সল্টলেকের CE ব্লকের মতোই এই এলাকাতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। দমকলের আসতে ৩০ মিনিট দেরি হয় বলে, পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে দমকল আসতে দেরি হওয়ার কারণ হচ্ছে, ঠিকানা বিভ্রাট। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সল্টলেকের DA 4 ব্লক। কিন্তু দমকলের কাছে খবর গিয়েছিল যে সেটা নাকি BA ব্লক। ফলে এই ঠিকানা বিভ্রাটেই দমকলের আসতে ৩০ মিনিট দেরি হয়েছিল।

গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিক জায়গায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। গত কয়েকমাসের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী ছিল এসি। কোথাও আবার গ্যাসের সিলিন্ডার। তবে বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ের ওই এলাকায় আকাশ ছেয়েছে কালো তারে। শর্ট সার্কিটের জন্যও আগুন লাগার ভুরিভুরি ঘটানার উদাহরণ বহন করে চলেছে এই কলকাতা। কিন্তু কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ? দায়ী কে ? অগ্নিদাহ্য বস্তুগুলি নিয়ে কি দায়িত্বশীল নয় কেউ ? আগুন লাগলে কি আদৌ বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকছে ? ফের নগরবসারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল।