কলকাতা: কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। সোমবার রাতে সল্টলেকের DA 4 ব্লকে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ঝলসে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।  খবর পেতেই, ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস। 


'স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল ছিল না'


জানা গিয়েছে, দেবর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় ব্যবসায়ী। বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তিনি তিনতলার ওই ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। এবং ধূমপান করছিলেন। তাই কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত সাপেক্ষ হলেও, ধূমপানের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। 'স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল ছিল না। বর সুস্থ অবস্থায় ছিল না। মদ্যপ ছিল,তাই বাইরে বার করা যায়নি', বলে দাবি স্থানীয়দের। দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এই ঘটনার ফরেন্সিক হবে। দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপর  পুরো বিষয়টি জানা যাবে।


ঘটনার সময় ঠিক কী হয়েছিল ?


যখন আগুন লাগে, ওই সময় তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়েও বাড়িতে ছিল।  সেই সময় ডাইনিংরুমে মেয়েকে খাওয়াচ্ছিলেন মা। আগুন লাগতেই তারা কোনওরকমে বেরিয়ে আসতে পারলেও তিনতলার ঘরে আটকে পড়েন দেবর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। দমকল কর্মীরা তিনতলার ওই ঘরে পৌঁছে দেখতে পান, সেখানে সিগারেটের টুকরো পড়ে রয়েছে।পাশের বাড়িটি ডক্টর সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। যখন আগুন লাগে, সেই সময় তখন সেখানে চেম্বার চলছিল। সেখানে ছুটে গিয়ে খবর দেয় স্ত্রী।


ঠিকানা বিভ্রাটের জেরে দমকলের আসতে ৩০ মিনিট দেরি হয়


এরপর দমকলে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু দমকলের আসতে ৩০ মিনিট দেরি হয় বলে, পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে দমকল আসতে দেরি হওয়ার কারণ হচ্ছে, ঠিকানা বিভ্রাট। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সল্টলেকের DA 4 ব্লক। কিন্তু দমকলের কাছে খবর গিয়েছিল যে সেটা নাকি BA ব্লক। ফলে এই ঠিকানা বিভ্রাটেই দমকলের আসতে ৩০ মিনিট দেরি হয়। 


আরও পড়েন, কুম্ভে যেতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে, গাড়িতে বাড়ি ফিরল শ্রীরামপুরের এক পরিবার !



(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)