হিন্দোল দে, কলকাতা: গড়ফায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ। গ্রেফতার শহরের প্রথম সারির কলেজের ছাত্র। নির্যাতিতার দাবি, তাঁর সঙ্গে একসময় সম্পর্ক ছিল ওই ছাত্রের। মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে। 


সম্প্রতি ফের সম্পর্ক দানা বাঁধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ২১ ডিসেম্বর তাঁকে গড়ফায় এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যান অভিযুক্ত।সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গতকাল গড়ফা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর বাগুইআটি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অতীতে একাধিক ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় দ্রুত মৃতদেহ দাহ করার ইস্যু উঠেছে। একাধিক মামলা রাজ্য পুলিশের হাত থেকে স্থানান্তরিত হয়ে,  কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গিয়েছে। এবং সেই সকলক্ষেত্রে মৃতদেহ দাহ করলে, আর পুনরায় ময়না তদন্তের সুযোগ থাকছে না। যদিও এর মধ্যে কিছু ব্যতিকর্মী ঘটনাও রয়েছে। যেখানে কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।  আরজি কর কাণ্ডে এখনও প্রতিবাদের ঝড় দিকে দিকে। তারই মধ্যেই মর্মান্তিক ঘটনা খাস কলকাতায়।


আরও পড়ুন, নতুন বছরে জমজমাট বেলুড়মঠ, আজকের দিনেই কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ..


এবার যেনও অদ্ভুত এক আঁধার গ্রাস করেছে আমাদের চারপাশকে! নাবালিকা থেকে তরুণী, কিশোরী থেকে গৃহবধূ, লালসার হাত থেকে কারোরই যেন রেহাই নেই! হাসপাতাল, পরিত্যক্ত জমি, ধানখেত, নদীর চর, পুজো মণ্ডপ, নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে নারীর নিথর দেহ। সবচেয়ে উদ্বেগের হল দীর্ঘ হয়েই চলেছে এই তালিকা। সম্প্রতি সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওতে। সরল শিশুকে চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার সঙ্গে নারকীয় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক এই এলাকায়।  প্রশ্ন হল, কেন বারবার লালসা আর হিংসার শিকার হচ্ছে মেয়েরা? কেন কিছুতেই এই প্রবণতায় রাশ টানা যাচ্ছে না? খাস কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এমনিতেই নারী নিরাপত্তার বেআব্রু দিকটা সামনে এনে দিয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের সূত্র ধরে উঠে আসা এত এত প্রতিবাদী আওয়াজ। অভূতপূর্ব গণ আন্দোলনের মধ্যেও কিন্তু থেমে নেই নারী সংক্রান্ত অপরাধ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।