রঞ্জিত হালদার ও হিন্দোল দে, গড়িয়া : গড়িয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের অফিসে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃৃতীরা। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অফিসে দুষ্কৃতী হানা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। হামলায় আহত হন তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথের ৩ অনুগামী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ (Narendrapur Police Station)।


গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের এই কার্যালয়টি রয়েছে। এখানে বাস ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে। এক অর্থে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই কার্যালয় খোলা ছিল। কাউন্সিলের বেশ কিছু অনুগামী কাজের জন্য এই কার্যালয়ে এসেছিলেন। সেই সময় হঠাৎ দুষ্কৃতী হামলা। একেবারে ভেতরে ঢুকে বাঁশ, লাঠিসোঁটা নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিন জন গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। কার্যালয়েও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে। তিন জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, কী কারণে এই ঘটনা সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।  


এ প্রসঙ্গে পিন্টু দেবনাথ পরিষ্কার জানিয়েছেন, যাঁরা হামলা চালিয়েছেন তাঁদের বেশ কয়েকজন কিছুদিন আগেও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু দাবিদাওয়া জানিয়েছিলেন। যেগুলো অসামাজিক কাজকর্ম। সেগুলো করতে বারণ করেছিলেন কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বারণ করে আসছিলেন। সেই কারণেই, সঙ্গ ত্যাগ করেন দুষ্কৃতীরা। যাঁরা মার খেয়েছেন, তাঁরা কাউন্সিলরের সঙ্গে ছিলেন বলেই তাঁদের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অসামাজিক কাজকর্ম বারণ করেছিলেন বলেই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। 


এই ঘটনায় যাঁদের নাম উঠে এসেছে তাঁদের এখনও পর্যন্ত পুলিশ আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।


দিনকয়েক আগে পাটুলি তৃণমূলের কোন্দল দেখা যায়। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকেই মারধরের অভিযোগ ওঠে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলের অভিযোগ, তিনি মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ পাটুলিতে নিজের কার্যালয়ে বসতে গেলে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁকে বাধা দেয়। শুরু হয় বচসা, ধাক্কাধাক্কি। অভিযোগ, এরপরই স্বরাজ মণ্ডলকে মাটি ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। মুখ ফেটে যায় তাঁর। স্বরাজ মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীরা। পাল্টা তারকেশ্বর চক্রবর্তীর দাবি, এধরনের ঘটনা তাঁর জানা নেই।


যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানান, তিনি কলকাতার বাইরে রয়েছেন। বিষয়টি জানা নেই। ফিরে খোঁজ নেবেন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।