নয়াদিল্লি : বাংলায় বর্ষার প্রবেশ না ঘটলেও তাপপ্রবাহ থেকে মিলেছে নিষ্কৃতী। কিন্তু ভয়াবহ তাপপ্রবাহে জ্বলছে উত্তর ও মধ্য ভারত। ১ মার্চ থেকে দেশের একটা বড় অংশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। জুনের মধ্যভাগ পেরিয়ে গেলেও একটুও স্বস্তির আভাস নেই। বরং প্রতিদিন বাড়ছে তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা। 


দেশের একটা বড় অংশে ১ মার্চ থেকে জুন ২০ অবধি তাপপ্রবাহ চলেছে বিরামহীন ভাবে। সূত্রের খবর সারা দেশে তাপপ্রবাহের দরুণ ১১৪ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে।  লাগামহীন তাপপ্রবাহে প্রায় ৪১ হাজার জন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে নিউজ ১৮ সূত্রে খবর।  রাজ্য সরকারগুলির থেকে চূড়ান্ত তথ্য পেলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর।ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) এর তথ্য বলছে,  উত্তরপ্রদেশেই গরমের অভিঘাত সবথেকে বেশি।   সরকারি সূত্রে দাবি, অনেক রাজ্য থেকে এখনও ডিটেইল তথ্য মেলেনি। এই তথ্য পেলে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। 


তবে এরই মধ্যে একটু স্বস্তির কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাপপ্রবাহ থেকে এখনই মিলছে না স্বস্তি।  ২৩ এবং ২৪ জুন দিল্লির কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ চলেছে। তবে আপাতত বর্ষার প্রবেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনাই বেষি।  ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং আশাপাশের এলাকায়  শুরু হয়েছে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। সামান্য হলেও, তার দরুণ তাপমাত্রা খানিকটা  কমেছে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বৃহস্পতিবার আধিকারিকদের একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করেন।  তিনি কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে , প্রতিটি হাসপাতালে তাপপ্রবাহে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা। ১৯ জুন তারিখেই হিটস্ট্রোকে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও সাত জনেরও হিটস্ট্রোকেই মৃত্যুর হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।  


নাড্ডা নির্দেশ দিয়েছেন যেন, সব কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতালে হিটওয়েভ ইউনিট স্থাপন করা হয়। হাসপাতালগুলিতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তরা যেন দ্রুত ও যথাযথ চিকিৎসা পান, তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।         


আরও পড়ুন :       


বর্ষার আগমন বার্তা স্পষ্ট, তবু এখনই ভারী বৃষ্টি নয় ! এই তারিখ থেকেই প্রবল বর্ষণ কলকাতায়