কলকাতা: দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই ৫ বছর পরে রাজ্যে প্রাথমিকের টেট (Primary TET) সম্পন্ন হল। এদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই টেট কেমন চলছে? ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এদিন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal)। কোথাও কোনও অভিযোগ আছে কিনা, সেটাও জানতে চান পর্ষদ সভাপতি। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠে পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে বিশৃঙ্খলা।  বিধাননগরের একটি স্কুলেও একই অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়। কয়েকটি জেলা থেকে বিক্ষিপ্ত বিশৃঙ্খলার (Chaos) খবর এসেছে। 


 নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে পাঁচ বছর পর রবিবার  সম্পন্ন হল রাজ্যে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। এদিন সকাল থেকেই নানা জায়গা থেকে একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও যানজটের কবলে পরীক্ষার্থীরা, কোথাও আবার ১১টার পর পৌঁছনোয় অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ চাকরি পরীক্ষার্থীদের। তাতে পরিস্থিতি তেতে উঠলে পরীক্ষাকেন্দ্রের উপরই সিদ্ধান্তের ভার ছাড়ে পর্ষদ। উল্লেখ্য, শহর কলকাতায় আজ ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত লোকজন ছাড়া ভিতরে ঢোকা নিষিদ্ধ বাকিদের। একই সঙ্গে রাজ্যের ছয় জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের নির্দেশে। দুই মেদিনীপুর, দুই দিনাজপুর, মালদা এবং মুর্শিদাবাদেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা। নিয়োগ দুর্নীতিতে OMR শিট নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। OMR শিট খালি থাকলেও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী নম্বর পেয়েছেন বলে সামনে  সেছে অভিযোগ। এ বার তাই নয়া নিয়ম কার্যকর হয়েছে। পরীক্ষার পর প্রশ্নের বুকলেট বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। OMR শিটের দু’টো কপি থাকবে। তার মধ্যে একটি পর্ষদ নেবে। অন্যটি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থী।


আরও পড়ুন, ৩ দিন পার, অব্যাহত জট মেডিক্যাল কলেজে, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক


আজ পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতেও কড়া নিরাপত্তা ছিল।  পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটকে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর। ছিল সিসিটিভি-র বন্দোবস্ত। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। ১১টার পর থেকে প্রবেশ বন্ধ। পর্ষদের তরফে চালু করা হয় কন্ট্রোল রুম। এই পদক্ষেপ কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য।এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য় অনুযায়ী, আজ প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন। তাঁদের অভিভাবক মিলিয়ে ছুটির দিন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামবেন বলে অনুমান প্রশাসনের। রবিবার এমনিতে যান চলাচল কম হলেও, এ দিন পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন, তার জন্য সব সরকারি, বেসরকারি রাস্তায় নামছে। রবিবার হাওড়া এবং শিয়ালদায় লোকাল ট্রেন কম চললেও, আজ অন্য দিনের মতো পরিষেবা মিলবে। রবিবার ১৫ মিনিট অন্তর মেট্রো চলে। এ দিন সেই ব্যবধান কমানো হচ্ছে। নামানো হচ্ছে আটটি বাড়তি মেট্রোও। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হতে পারে সংখ্যা।