হিন্দোল দে, কলকাতা : এজেন্সি মারফত বাড়িতে পরিচারক রাখেন অনেকেই। কিন্তু পরিচারকের বেশে চোরেরা আপনার বাড়িতে সিঁধ কাটছে না তো? প্রশ্নটা উস্কে দিল দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত আবাসনের ঘটনা। অভিযোগ, রাঁধুনি, আয়া, হাউজ কিপিংয়ের কাজ নিয়ে এক শিল্পপতির বাড়িতে কাজে ঢুকেছিলেন ৬ জন পরিচারক। কিন্তু , কাজের ফাঁকে হিরের গয়না এবং বহুমূল্য় দুষ্প্রাপ্য় জিনিস সরিয়ে নিয়েছিল তারা। শেষে তদন্তে নেমে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল চেতলা থানা।
অভিযোগ দায়েরের ৪দিনের মাথাতেই পর্দা ফাঁস হল বড়সড় চক্রের। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৭ ডিসেম্বর, রাজা সন্তোষ রায় রোডের এই আবাসনের বাসিন্দা, পেশায় শিল্পপতি অমিত সিংহ চেতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, ২৪ ডিসেম্বর, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে হিরের নেকলেস, হিরের আংটি-সহ কোটি টাকার গয়না চুরি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চুরির পর থেকেই একসঙ্গে বেপাত্তা তাঁর রাঁধুনি, আয়া, হাউস কিপিং থেকে মোট ৬ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই বিভিন্ন জায়গায় ফাঁদ পাতেন তদন্তকারীরা।
৭ দিনের মাথায়, চুরি যাওয়া জিনিস বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে মাস্টারমাইন্ড ঝুমা দাস ও তাঁর ৫ শাগরেদ-সহ ৬ জন। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের থেকে যেসব জিনিস উদ্ধার হয়েছে, তার আনুমানিক মূল্য় ৭০ লক্ষ টাকা । যে ৫ জনকে চুরি করা গয়না বিক্রি করা হয়েছিল, তাদেরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ধৃত ৬ জনকে একই এজেন্সি মারফৎ নিয়োগ করা হয়েছিল শিল্পপতির বাড়িতে। ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় জানালেন, 'একটা নির্দিষ্ট এজেন্সি থেকে রিক্রুট করা হয়েছিল এদের। ওই সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে' ।
তবে কি পরিচারক-পরিচারিকার বেশে মূল্যবান জিনিস হাতাতে প্ল্যান করেছিল ওই এজেন্সিই? কতদিন ধরে কাজ করছে এই চক্র? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে শিকড়ের খোঁজ চালাচ্ছে চেতলা থানা।
আরও পড়ুন : ক্যান্সার আক্রান্ত রামকৃষ্ণদেব,সেটাই ছিল শেষ পয়লা জানুয়ারি,কল্পতরু দিবসে কী ঘটেছিল কাশীপুরে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে