কলকাতা: 'শিক্ষকদের চাকরি খাচ্ছে সিপিএম', বিধানসভায় তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, 'রাজনীতি করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি খাচ্ছে সিপিএম। রাম-বাম-শ্যাম এক হয়ে গেছে।' মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, 'চাকরি দিতে গেলে কোর্টে চলে যাচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। আইন মেনেই চাকরি দেব, কেউ আটকাতে পারবে না', বলে  চ্যালেঞ্জ মমতার।


সম্প্রতি, গ্রুপ-ডি পদে চাকরি বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯১১ জনের। এই মামলায় ১ হাজার ৯১১ জন চাকরি প্রাপকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় অবিলম্বে প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবার ১৯১১ জনের পর ২২৫০ জনের চাকরি যাচ্ছে। আর এবং গ্রুপ সি ইস্য়ুতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সবে তো শুরু। সব বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার লোক টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। অনেকে টাকা দিয়েও চাকরি পায়নি। এই যে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে, এর একটা শেষ হওয়া উচিত। মাননীয় বিচারপতি ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন। ওনার এভাবেই এগিয়ে চলা উচিত।' 


সূত্রের খবর, ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। সেই বিষয়টি সামনে আসতেই চাকরি খোয়ালেন নবম-দশমের ৬১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার। এসএসসি-এর তরফে জানান হয়েছে, প্রথম ধাপে বাতিল হচ্ছে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র। প্রসঙ্গত, এসএসসি-র স্ক্যানারে মোট ৯৫২ জন শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম ধাপে এবার চাকরি গেল ৬১৮ জনের। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ মেনে 'ভুল' সুপারিশ খুঁজে তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি।


প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভময় ভুঁইয়া-সহ ১৯৩ জন প্রার্থী। ২০১৬-র এসএলএসটি-র প্রেক্ষিতে নিয়োগ নিয়ে এমন অভিযোগ ওঠে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরেও কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে। বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে ২১ জনের তালিকা পেশ করেছিলেন মামলাকারী। সেই সময় বিচারপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাই প্যানেল বাতিল করছি না। না হলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিতাম।'


আরও পড়ুন, 'বীরদের আত্মত্যাগ ভোলার নয়', পুলওয়ামা হামলার দিনকে স্মরণ করে টুইট প্রধানমন্ত্রীর


অপরদিকে, চাকরি ইস্যু ছাড়াও রাজ্যপালের ইস্যুতে বিধানসভায় কথা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, যে রাজ্যপালকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বিজেপি। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় কোথায় ছিল? তাঁর বাবাকে মন্ত্রী করতে দিল্লি নিয়ে গেল, ছেলেকে কেন নিয়ে গেল না?' নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার। আরও একটি অভিযোগ শোনা যায় মমতার মুখে। তিনি বলেন, 'বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল আমার ভাই আর ভাইয়ের বউকে।'