কলকাতাঃ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নিয়ে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বিস্ফোরক মন্তব্যের পর মুখ খুললেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)। তিনি এদিন বলেন,'অনুপম হাজরা একটা সময় অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন।জ্যাঠামশাইয়ের থেকে আর্শীবাদ নিয়ে আসি বলে, গিয়েছিলেন। সুতরাং উনি কিছুটা হলেও জানতে পারেন। এবং যে নামের তালিকা বলছেন, সেখানে প্রথমেই কি অনুপমবাবুর নাম থাকবে ? একটুখানিক বললে ভালো হয়। এবং এখনকার সময়, অনুপমবাবু না ঘরের না ঘাটের। এই রাজ্যের না কেন্দ্রের। উনি কোন জায়গায় কীভাবে অবস্থান করছেন , আমরা জানি না। এই টুইট এবং নানা মন্তব্যের মধ্য দিয়েই সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন।এবং তিনি বিজেপিতে যোগদানের পরেও অনুপম হাজরার এই মন্তব্যের কোনও গুরুত্ব আছে বলে, আমার মনে হয় না', বলে জানান জয়প্রকাশ মজুমদার।


 প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এদিন বলেন, '৩-৪ কোটি হাজার টাকার মালিক অনুব্রত।  কাঁধে করে গরু নিয়ে পাচার করতেন অনুব্রত, তৃণমূলে সব লোকজন বলত, এমনটাই শুনতাম, বলে জানালেন বিজেপি নেতা।  পাশাপাশি 'একটা সময় ২০১৯ লোকসভার সময় আপনি হঠাৎ করে তৃণমূলের কার্যালয়ে চলেগিয়েছিলেন, বলেছিলেন আপনার কাকু হয়। এটা ব্যক্তি সম্পর্ক , রাজনৈতিক সম্পর্ক পুরো আলাদা। কাকু সিবিআই হেফাজতে, এখন কীভাবে দেখছেন', সাংবাদিকদের প্রশ্নে অনুব্রত-র গ্রেফতার ইস্যুতে তিনি বলেন, 'যদি সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, দিনের শেষে আমরা মানুষ। উনি গ্রেফতার হয়েছেন। আস্তে আস্তে আরও অনেক জিনিস খুলবে। আরও রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে। ততটাই কামাও, যতোটা ভোগ করতে পারবে। উনি এতটাই কামিয়ে ফেলেছেন, মানে আমাদের কাছে এখনও যা কাগজ পত্র জমা পড়েছে, তাতে করে উনি ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা একটা রোগ। একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে ! উনি যা উপর্জন করেছেন , এরপরের ১০টা জেনারেশন বসে খাবে। যখন আমি তৃণমূলে ছিলাম, তখন আমি শুনতাম, বলতেন , আমার এক ঘর টাকা হবে।'


আরও পড়ুন, 'দিদিকে খুশি করার জন্য জন্য জোশ দেখাচ্ছেন', সৌগত-র হুমকি ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপ-সুজনের


 মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডলের উপরে ঝুলছে গরুপাচার মামলার তদন্ত। নাম জড়ানোর পর এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআই-র হাজিরা এড়িয়েছেন। কখনও বীরভূমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসানসোল হয়ে কলকাতা আসার পথে নিজাম প্যালেসের গা ঘেষে বেরিয়ে যান তিনি। এর আগে সিবিআই তলবের পর বুকে হাত দিয়ে তাঁকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। তারপর সোজা গিয়ে ভর্তি হয়েছেন  এসএসকেএম-এ। তবে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেম-এ না যেতে পারেন, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সিবিআই। তারপরেই এসএসকেএম-র উডবার্ণ-এ এখন আর চাইলেই ভর্তি হওয়া যাবে না, স্পষ্ট বলে জানায় হাইকোর্ট। আর এবার তাই চেয়েও আর এসএসকেএম-এ ভর্তি পারেননি অনুব্রত। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল। এদিকে তারই মাঝে অনুব্রত-র বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর ইস্যুতে বিতর্কের ঝড়। গরুপাচার মামলায়  অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতারের পর এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র নজরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু।