কলকাতা: জোকা ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকা ব্যাগ ঘিরে রহস্য ! কারণ সেই ব্যাগেই মাংসপিণ্ড উদ্ধার হয়েছে। এদিন সকালে জোকা ইএসআই হোস্টেলের পিছনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। বলাইবাহুল্য সেই ব্যাগে কী আছে, উঁকি দিতেই দেখা যায় মাংসপিণ্ড ! একেই শহরের একের পর এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়ে চলেছে। তার উপর এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই মাংসপিণ্ড কীসের ? মানুষের নাকি কোনও বন্যপ্রাণীর। তবে শেষ অবধি পুলিশের অনুমানই সত্যি হয়ে দাড়াঁল। ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তাতে উল্লেখ করা রয়েছে, ওই মাংসপিণ্ড মানুষের নয়, ব্যাগে গোসাপের হাড়-মাংস!  কিন্তু এখানেও প্রশ্ন, কীভাবে গোসাপের ছাড়ানো মাংস এল জোকা ESI-তে? বলাইবাহুল্য ব্যাগের মধ্যে মাংস-রহস্যে এখনও ধোঁয়াশা।


কলকাতা বুকে বাংলাদেশের সংসদের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কথা এখনও কেউ ভোলেনি। এখনও নৃশংসতম ঘটনায় উদাহরণ টানা হয় দিল্লির ঘটনাকেও। খুনের পর টুকরো টুকরো করে ব্যাগের ভরার বিরল ঘটনা শিহরণ জাগায় বই কি ! আর এবার জোকার একটি ঘটনা ছড়াল চাঞ্চল্য। জোকায় বয়েজ হস্টেলের পিছনে ব্যাগে মিলল মাংসপিণ্ড ! অভিযোগ, জোকা ESI-র বয়েজ হস্টেলের পিছনে ব্যাগে মাংসপিণ্ড। ব্যাগে মাংসপিণ্ড মেলায় জোকা ESI-তে চাঞ্চল্য। সকালবেলা ক্যান্টিন কর্মীরা এসে পড়ে থাকা ব্যাগে মাংসপিণ্ড দেখেন। পুলিশ এসে মাংসপিণ্ড বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। মানুষের নয়, মাংসপিণ্ড অন্য কোনও প্রাণীর, অনুমান পুলিশের।  ফরেন্সিক পরীক্ষার পর পুলিশের অনুমানই সত্যি হল।


আরও পড়ুন, 'কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এটা অপ্রত্যাশিত ! এটা তদন্ত হচ্ছে?'


এমনই এক নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। যা জানতে পেরে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রথমে খুন। তারপর দেহকে ৩৫ টুকরো করা। তারপরও পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Walkar) মুখ আগুনে পুড়িয়েছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawala) ।ফ্রিজ কিনে এনে প্রেমিকার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ তাতে ঢুকিয়ে রেখে তারপর রোজ রাতে চলত সেগুলো জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার কাজ। দিল্লি খুন-কাণ্ডে নৃশংসা দেখে শিউরে উঠছিল গোটা দেশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এর মাঝেই উঠে এসেছিল নতুন তথ্য। প্রেমিকার পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে খুনের পর দেহ কুচি-কুচি কেটে ফেলে শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব।


আরও পড়ুন, প্রাথমিকে চাকরির জন্য নাম সুপারিশ দিব্যেন্দু অধিকারী, ভারতী ঘোষ, মমতা ঠাকুরের ! উল্লেখ CBI চার্জশিটে