সমীরণ পাল,উত্তর ২৪ পরগনা: আজ মহাষ্টমী (Maha Astami)। মধ্যগগনে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব। দুর্গাপুজো (Durga Pujo 2022) ঘিরে মানুষের উন্মাদনা তুঙ্গে। কলকাতা থেকে জেলা মণ্ডপগুলিতে তিল ধারনের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুজোয় মেতেছেন রাজনীতিকরাও। গতকাল সপ্তমীর দিন বেলঘরিয়ায় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। ঢাকও বাজালেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের তালপুকুর বারোয়ারি দুর্গাপুজোয় গিয়ে ঢাক বাজান তৃণমূল বিধায়ক ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraboty)। দর্শনার্থীদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি একদিনে ৫০০ পুজো উদ্বোধন করেছেন। এপ্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ওটাই উনি করতে পারেন। অন্য কোনওভাবে নাম উঠবে না ওনার। সারা পশ্চিমবাংলার পুজোকে উনি ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। সবটাই হয় ফিজিক্যালি ও ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। ওটা করলেই ওনার গিনেস বুকে নাম উঠবে। ঢাক বাজানো প্রসঙ্গে বলেন, 'এখন আর কেউ বাজাচ্ছে না তাই নিজের ঢাক নিজেকেই পেটাতে হচ্ছে। অন্তিম পরিণতি স্বেচ্ছাচারীতার এটাই হয়।' যদিও পাল্টা শান্তনু সেন বলেন, আসলে বাংলার মানুষ যখন বিজেপির ঢাক ফাটিয়ে দিয়েছে, বাংলার সবথেকে বড় উৎসব, হিন্দু ধর্মের সবথেকে বড় উৎসব, সব ধর্মের মানুষ যে উৎসবে মেতে ওঠে, সেই দুর্গা উৎসবকে ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। এবং তিনি বাংলার মানুষকে মাতিয়ে রাখছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে বিজেপির ঘুম ছুটে গিয়েছে, কপালে ভাজ পড়ছে। আমি দিলীপ বাবুকে একটাই কথা বলি, বলে নিশানা করে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো জীবদ্দশায় নিজেদের নামে নানা জায়গার নামকরণ করছেন না, দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করছেন।'
আরও পড়ুন, করোনা কাঁটা সরিয়ে কুমারী পুজো শুরু ফের জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে
পুজো নিয়ে বাংলার মানুষকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, বিপদ কেটে গেছে করোনার। সেজন্য পুজো দেখতে আপত্তি নেই। উৎসাহে এবার পুজো হচ্ছে ধুমধাম করে। সবাই পুজো দেখুন। যাঁরা অধিকারের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদেরকে আমি অনুনয় করবো আপনারা আন্দোলন বন্ধ রেখে আসুন পুজোর আনন্দে মেতে উঠুন। পরিবারের লোকেদের সময় দিন। বন্ধু বান্ধবদের সময় দিন। লড়াই করতেই হবে। পশ্চিমবাংলার কপালে এটাই লেখা আছে স্ট্রাগল করা। আর এই সরকার যতদিন আছে অধিকার পূর্ণ হবে না লড়াই করতেই হবে।