কলকাতা: তাপস চট্টোপাধ্যায়কে (Tapas Chatterjee) আমন্ত্রণ-বিতর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মদন মিত্র-র (Madan Mitra)। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, একটা সরকারের পক্ষে সবাইকে ডাকা সম্ভব না। আমিও গত কয়েকবছর সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ পাওয়ার কথাও নয়, কারণ আমি সেই প্যারামিটারে পড়ি না। আমরা ভুলে যাই, অতীতে আমরা সবাই রত্নাকর ছিলাম, পরে বাল্মিকী হয়েছি। তাপস নিজেকে গালিগালাজ করেছেন, দলকে দেননি। তাপসকে বলব, গালাগাল দিন, আত্মহত্যা করবেন না। খেলা অনেক বাকি, দেখতে থাকুন।'
প্রসঙ্গত, তাপস রায়ের পর এবার বিস্ফোরক রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। ইকো পার্কে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। প্রতি বছরের মতো এবারও, শিল্প উন্নয়ন নিগম এবং হিডকোর উদ্যোগে বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়।এখানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টরা।মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদের অনেকেই এখানে আমন্ত্রিত ছিলেন না। আমন্ত্রণ পাননি রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
তবে, উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। এই অবস্থায়, আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক। 'আমি দুষ্টু-বিষ্টু থাকি ২০২১’র ইলেকশনে, এখন শুধুই দুষ্টু। না হলে আমার চান্স হয় না কেন? আমার মনে হয় আমরা পরিশ্রমীকর্মী, যেমন বাবু আর চাকরদের মধ্যে স্ট্যাটাস থাকে, আমরা মনে হয় দ্বিতীয়টার মধ্যে পড়ি। আমার স্ট্যাটাস এই ধরনের প্রোগামে পড়ে না। আমার বিধানসভার মধ্যে পড়ে, মানুষ যখন জিজ্ঞেস করে, মিথ্যে বলে চোখ ঢাকতে হয়। এটা আমার কাছে অপমান নয় আমার নিউটাইনবাসীর কাছে অপমান', বলে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
আরও পড়ুন, গরুপাচার মামলায় সিবিআই তৎপরতা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারকে তলব
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র করে তৃণমূল। এরপর, ২০২১’র বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক হন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, 'আমি এখনও বুঝতে পারিনি নিমন্ত্রণের সিস্টেম কী। স্থানীয় বিধায়ককে বাদ দেওয়া ? যদি বুঝতাম স্ট্যাটাস দেখে করেছেন? আমি ভাল গান করতে পারি না। নাচ করতে পারি না। হয়তো বা নেত্রীকে ভাল করে গালাগালি দিতে পারি না। একসময় সিপিএম করতাম, পলিটিক্যাল লড়াই ছিল। মমতাকে বামপন্থার প্রতীক বলে মনে করেছি। আমার বাড়ি গিয়ে পার্সোনাল কথা বলার সুযোগ নেই। আমার অভিমান আছে, ক্ষোভ আছে, দিদি শুধু একজনকে চাইলে হয় না। যারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে, তাদের অ্যাসেসমেন্ট করতে হয়।'