অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের ভাইরাল হল তৃণমূল নেতার (TMC Leader) আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি। ছবিতে দেখা যায় বন্দুকটি আসলে খেলনা বন্দুক। বিতর্কের মুখে দাবি রাজ্যের শাসক দলের নেতার। ভাইরাল ছবি ঘিরে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা।
ভাইরাল ছবি
হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, মুখে মুচকি হাসি। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানের স্বামী মহম্মদ আলাউদ্দিনের একটি ছবি ভাইরাল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মালদার শাসক নেতার বন্দুক হাতে ছবি ভাইরাল হতেই তুঙ্গে বিতর্ক। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও মালিওর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রতিকা আক্তারির স্বামীর দাবি, মেলায় গিয়ে বেলুন ফাটানোর বন্দুক নিয়ে ছবি তুলেছিলেন তিনি। মালদার হরিশচন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেছেন, 'মেলার খেলনা বন্দুক। বেলুন ফাটানোর জন্য নিয়েছিলাম। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে।' বিজেপির পক্ষে আক্রমণ শানিয়ে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষকে ভীত, সন্ত্রস্ত করতে চাইছে তৃণমূল। এর জন্য অস্ত্র মজুত করে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। যাতে পঞ্চায়েত ভোটে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ভোট লুট করতে পারে।
তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
বন্দুক আসল না নকল সেই নিয়ে চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেছেন, 'পঞ্চায়েতে ভোট লুট করবে তার প্রস্তুতি করছে তৃণমূল। এখন থেকেই বোমা বন্দুক মজুত করছে। তবে মানুষ এর জবাব দেবে।' পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী বলেছেন, 'বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন দেখে মানুষ পঞ্চায়েতে ভোট দেবে। নিজেদের জমি নেই বুঝতে পেরে তৃণমূলের নামে কুৎসা করছে।'
আগেও বন্দুক বিতর্ক
গত বছর সরকারি অফিসে পদাধিকারীর চেয়ারে বসে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে, সেলফি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। এরপর গত জুলাই মাসে, মালদার মানিকচকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের ছেলে-সহ ৩ জন। এবার হরিশ্চন্দ্রপুরে বন্দুক হাতে তুলে নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল প্রধানের স্বামী।