প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় অনুব্রতর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে ঘুরপথে ঢুকেছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের (CBI)। অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৮-র ডিসেম্বর থেকে ২০২২-এর মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল কয়েক দফায় নগদ ৫ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা সুব্রত বিশ্বাস এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীকে দেন।


অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: দুর্গা পুজো মিটতেই গরু পাচার মামলায় ফের সক্রিয় হল CBI। সিবিআইয়ের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, বিভিন্ন সময়ে ওই টাকা কখনও বাড়িতে ডেকে, কখনও গাড়িচালকের হাত দিয়ে পাঠাতেন অনুব্রত। সেই টাকা সোনাঝুরির একটি হোম স্টে-র ওভারড্রাফট অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। এরপর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফের ঘুরপথে অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত বলে চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ওই টাকায় অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। এই প্রায় ৬ কোটি টাকা কোথা থেকে এল, ঘুরপথেই বা লেনদেন হল কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন সিবিআইয়ের।


গতকালই নোটিস জারি করা হয় অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সংস্থাকে। অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়ের নামে থাকা বোলপুরের শিবশম্ভু রাইস মিলকেও নোটিস ধরান হয়ে। অনুব্রত মণ্ডলের আরেক আত্মীয় রাজা ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। পুজোর আগে, বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। আর, পুজোর পর নোটিস দেওয়া হল, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে। এই সংস্থার ডিরেক্টর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুত্‍বরণ গায়েন। সোমবারের মধ্যে ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।


তদন্তে নেমে CBI এর নজরে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষও। বুধবার সকালে বাড়ি গিয়ে তাঁকে নোটিস ধরায় CBI। গতকালই বোলপুরের CBI’এর অস্থায়ী অফিসে হাজিরা দেন রাজা। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন রাজা ঘোষ। তার সঙ্গে বোলপুরের একটি রাইস মিল ও হোটেলের যোগসূত্র পাওয়া গেছে।  সূত্রের দাবি, সেই বিষয়েই রাজা ঘোষকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভের মেয়াদ বাড়াতে নারাজ হাইকোর্ট