কলকাতা: তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ( 3 States Election) ফলপ্রকাশের দিনেই,  বাংলার উপনির্বাচনে বদলাল গ্রাফ। বাইরনে ভর করে বিধানসভায় খাতা খুলেছে কংগ্রেস (Congress)। আর এরপরেই শাসকদলের সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury)। যদিও চুপ নেই মমতা। শিয়রে সাগরদিঘির 'ছ্যাঁকা', কত দূর গড়াল কথা? একনজরে দেখে নেওয়া যাক।


তীব্র নিন্দা করছি আমরা: মমতা


 নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন,'সাগরদিঘি উপনির্বাচনে আমরা হেরেছি। কাউকে দোষ দেব না আমি। গণতন্ত্রে নির্বাচনী রাজনীতিতে হার-জিত লেগেই থাকে। কিন্তু এখানে অনৈতিক একটি জোট হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা করছি আমরা।'


 বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু দিয়ে রাজনীতি করেছেন : অধীর


অধীর চৌধুরী বলেন, 'বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু দিয়ে রাজনীতি করেছেন। সংখ্যা লঘুর তাস খেলে বারবার পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের ধোঁকা দিয়েছেন। ধোঁকা মানে বেইমানি করেছেন। মোদির দালালি করছেন। মোদির দালালি যে করবেন, বাংলার মুসলমান তাঁকে মাথায় করে খাতির করবে, তার মাথায় সিংহাসন বসিয়ে দেবে, তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেবে, এটা যেনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না ভাবেন।' যদিও মমতাকে তোপ দাগার পর পাল্টা ব্যাক্তিগত খোঁচারও মুখোমুখি হতে হয়েছে অধীরকেও।


সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলেছে : মমতা


যদিও পাল্টা নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক কার্ডও খেলা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। মমতার দাবি, বিজেপি বারবরের মতোই সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলেছে। কিন্তু সিপিএম এবং কংগ্রেস তার থেকেও বেশি করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এ থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন তাঁরা।


শেষপর্যন্ত এই জয়কে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং কতটা নাম্বার দিচ্ছেন ?


 অধীর বলেন, 'এটা ট্রিগার একটা। এই ট্রিগারটা সারা বাংলা জুড়ে কাজ করবে। সারা বাংলার তৃণমূলকে পরাজিত করবার জন্য যারা যারা ইচ্ছে পোষণ করে থাকেন, সবাইকে আজকে ভাবতে হবে, একটা নতুন ডায়নামিকস হল রাজনীতিতে। সেটা কী ? তৃণমূলকে হারাতে বিরোধীদের জোট হতে হবে।'  


'জোট' নিয়ে 'লেনদেনের সম্পর্ক' বলে কটাক্ষ মমতার


বাংলায় বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর মধ্যে লেনদেনের সম্পর্ক বলেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপি-র ভোট গুনলে দেখা যাবে, তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ২২ শতাংশ। এ বার নিজেদের ১৩ শতাংশ ভোট কংগ্রেসকে হস্তান্তরিত করেছে। সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে লেনদেন রয়েছে, বিজেপি-ও তাদের ভোট কংগ্রেসকে দিয়েছে। 


'আমি যেই জিনিসটাতে হাত দিই, সেই জিনিসটাই সোনা হয়ে যায় !'


 বায়রন বিশ্বাস বলেছেন, 'আমি যেই জিনিসটাতে হাত দিই, সেই জিনিসটাই সোনা হয়ে যায় !' প্রসঙ্গত,  বৃহস্পতিবার তিন রাজ্যে বিধানসভার পাশাপাশি বাংলার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। তাতে তৃণমূল এবং বিজেপি-কে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে এবার 'সারপ্রাইজ' সাগরদিঘি। বাইরনে ভর করে বিধানসভায় খাতা খুলেছে কংগ্রেস। বামেদের সমর্থনে তৃণমূলের থেকে বিধানসভা ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস।


আরও পড়ুন, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসকদল, প্রভাব সাগরদিঘির ভোটে ?


মূলত উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরায় খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। তবে মেঘালয় বিধানসভায় প্রথমবার লড়ে ৫ টি আসনে জিতেছে তাঁরা। অন্যদিকে ত্রিপুরায় লাগাতার দ্বিতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপি।