কলকাতা: মরে গিয়েও হাসপাতালের আইসিসিইউ-তে ঠাঁই মৃতদেহের ! (Dead body) না এমন কোনও ঘটনা গত কয়েক ঘণ্টায় প্রকাশ্যে আসেনি। তবে গতকয়েক বছরে এমনই ঘটনা তোলপাড় করেছে গোটা কলকাতাকে। বিল বাড়ানোর অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অন্যায় ব্যবহার, পাশাপাশি আরও একাধিক অভিযোগ নিয়ে ২০১৯ থেকে ২২ সালের গ্রাফে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের। আর এদিন এসএসকেএমের (SSKM) ৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এসে সেই গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বিল বাড়াতে আইসিসিইউ-তে ডেডবডি
এদিন বেসরকারি হাসপাতালের কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অনেকে ভাবেন শুধু টাকা, হ্যাঁ অনেক হাসপাতাল আছে, অনেক টাকা দেয়। তাঁদের শাড়িটাও পর্যন্ত ডাক্তারদের কিনতে হয় ! এটাও আমি শুনেছি। এমনকি তাঁদের কমিশন দিতে হয় ! জোর করে পেসমেকার বসাতে হয়। আসিসিইউ-তে প্রয়োজন না থাকলেও বিল তুলতে ডেডবডি রেখে দেয়। এরকমও অনেক আছে, আবার অনেক ভালো হাসপাতালও আছে। যা ডিটারমিনেশন নিয়েও কাজ করে। যারা হাসপাতালে কাজ করেন তাঁদের থেকে বড় সমাজসেবক আর নেই। অনেক টাকার প্রয়োজন সবসময় পড়ে না।'
ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল কোভিড পরিস্থিতিতে
বিশেষ করে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল কোভিড পরিস্থিতিতে। রাজ্যে পার্কসার্কাস থেকে মধ্য ও উত্তর কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে মৃতদেহ আইসিইউ-তে রেখে বিল বাড়ানোর অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল।তবে এদিন সরকারি হাসপাতালের ঢালাও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 'ওরা হেল্প করে', বলে এদিন এমআর বাঙ্গুর থেকে শম্ভুনাথ পণ্ডিতের নাম নেন তিনি। প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে নতুন একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।পাশাপাশি এসএসকেএমে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Doctor) প্রশংসাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'বালি থাকলেই পার্টি চলবে', তৃণমূলকর্মীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিধায়ক !
অপরদিকে, রাজ্যে দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। এদিকে জেলায় জেলায় ক্ষোভের মুখে পড়ছেন 'দিদির দূত'রা। সাংসদ থেকে বিধায়ক, দলের ব্লক সভাপতি থেকে রাজ্যস্তরের নেতা সকলেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। কখনও বিক্ষোভের কারণে গ্রামেই ঢুকতে পারেননি দিদির দূত। কখনও অভিযোগের সামনে কার্যত চুপ করে থাকতে দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সভায় বলেন, 'সমস্যা থাকলে নিশ্চয় বলবেন, সমাধান হবে। কারও কথা শুনে কুৎসা-অপপ্রচারে কান দেবেন না।' এই বিষয়ে বিজেপিকেও (BJP) নিশানা করেছেন তিনি। মমতা বলেন, 'বিজেপির নেতানেত্রীরাও তাঁদের আত্মীয়দের নাম আবাসের তালিকায় তুলেছিলেন। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে।'