কলকাতা: উত্তীর্ণতে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে এদিন নানা কথার মাঝে নিজের ফেলে আসা দিনে ফিরলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কার্নিভালে উচ্ছ্বাসে ভেসে ওঠেন মমতা। আর এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে সেই কথা বলতে গিয়ে, ছোটবেলার নানা মুহূর্ত শেয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
'ছোটবেলায় আমি তিনটে বছর গান শিখেছিলাম'
এদিন তিনি বলেন, 'গুজরাতের ডাণ্ডি নাচও আমাকে কেউ শেখায়নি। ধামসাও কেউ শেখায়নি, মাদলও কেউ শেখায়নি। ছোটবেলায় আমি তিনটে বছর গান শিখেছিলাম, অফিশিয়ালি। থার্ড ইয়ার পর্যন্ত করে আর আমার করা হয়নি। তারমধ্যে থেকেই সারেগামাপা... গানের একটা আইডিয়া আছে। ডান্স করিনি, ছোটবেলায় সেই, ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে..সুতরাং এসব তো চলেই। হিন্দি হোক বাংলা হোক, উর্দু হোক। উর্দু কত মিষ্টি ভাষা। হয়তো আমি পুরোটা বলতে পারি না, কিন্তু আমার হিন্দিতে ছাপা বই বেরিয়ে গিয়েছে।'
সম্প্রতি কার্নিভালে মেতে ওঠে কলকাতা, আদিবাসী নাচে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কার্নিভালে মেতে ওঠে কলকাতা (Durga Puja Carnival 2022)। নাচে-গানে-উৎসবে উমা-মাকে শেষ বিদায় জানানোর সঙ্গে আলোর রোশনাইয়ে ভেসে যায় গোটা শহর। একে একে ৯৫টি পুজো কমিটি তাঁদের সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে রেড রোড ধরে এগিয়ে চলে। রেড রোডে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকেও দেখতে পাওয়া যায় ভিন্ন মুডে। কখনও কাঁসর বাজালেন তিনি, আবার কখনও ঢাক। কখনও আবার আদিবাসী নাচে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এটাই প্রথম পুজো কার্নিভাল। তাই আয়োজনও আগের বছরগুলোর থেকে কিছুটা আলাদা। এই বছর রেড রোডের কার্নিভালে অংশ নেয় ৯৫টি পুজো। এক-একটি পুজো কমিটির জন্য বরাদ্দ সময় ৩ মিনিট। পুজো কমিটি পিছু সর্বাধিক ৫০ জন করে থাকবেন। প্রত্যেক পুজো কমিটি সর্বাধিক ৩টি ট্যাবলো নিয়ে কার্নিভালে যোগ দান করে।
আরও পড়ুন, 'তোমরা যখন ক্ষমতায় থাকবে না, এজেন্সি গিয়ে তোমাদের কান মুলবে', বললেন মমতা
নাচে-গানে রেড রোড মাতিয়ে তোলা শিল্পীদের উৎসাহ দিতে দেখা যায় অতিথিদের। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও নিজে মঞ্চ ছেড়ে নেমে এসে কাঁসর বাজাতে শুরু করেন। আবার কখনও ঢাকও বাজান। আদিবাসীদের সঙ্গে নাচেও মেতে ওঠেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছ থেকে পেয়ে আপ্লপত হয়ে পড়েন শিল্পীরাও। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন অনেকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপের বেড়াজাল কেটে কয়েক মুহূর্তের জন্য উৎসবের অন্য চেহারা ধরা পড়ে রেড রোডে।