কলকাতা: রবীন্দ্র সদনের কাছে ভয়াবহ আগুন (Massive Fire)। এক্সাইড মোড়ে টায়ারের গুদামে ভয়াবহভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে (Rabindra Sadan Excide More)। ঘন ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা, ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক। আগুন নেভাতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়ে দমকলের ইঞ্জিন (Fire Engine)। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে আগুন নেভাতে লড়াই চালাচ্ছে দমকল বাহিনী। শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আগুনে আটকে থাকতে পারেন কেউ, আশঙ্কা দমকলের।
সপ্তাহ শুরু হতে না হতেই অঘটন
সপ্তাহ শুরু হতে না হতেই অঘটন, সাতসকালেই আগুন ছড়াল এক্সাইড মোড়ে টায়ারের গুদামে। জানা গিয়েছে, মুহূর্তেই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। একে অফিস শুরুর ব্যস্ততা, তার উপর আগুন ছড়াতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরে। আগুন নেভাতে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে দমকল বাহিনীর। আতঙ্ক এতটাই বাড়তে থাকে, যে আগুনের হাত থেকে বাঁচতে দুই ব্যক্তি উঠে যান ছাদে, এমনটাই দাবি স্থানীয় কাউন্সিলরের।
কেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে ছুটি মিলছে না এশহরের ?
প্রসঙ্গত, মাস পড়তে না পড়তেই ফেব্রুয়ারির শুরুতেই একাধিক আগুন লাগার ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটেছে। আগুন লাগার ঘটনর মুখোমুখি হয়েছে নদীর ওপারের শহর হাওড়া। তবে কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ড ফিরে ফিরে আসছে ? কেন বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও সেখানে লাগাম লাগানো যাচ্ছে না। কেন সতর্কতা জারি করা সত্ত্বেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে ছুটি মিলছে না এশহরের ? প্রশ্ন তুলেছে শহরবাসী।
আরও পড়ুন, 'ঝাড়খণ্ডে এখনও সক্রিয় মাওবাদীরা', মাড়গ্রাম বিস্ফোরণে বিস্ফোরক ফিরহাদ
অগ্নিকাণ্ড রুখতে স্মার্ট রোবট
মূলত স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডই হোক, কিংবা বিধাননগরের বস্তিতেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটুক, প্রতিটি বড় আগুন লাগার ঘটনায় চাপের মুখে পড়তে হয়েছে, যখন যে সরকারই থাকুক। তবে শহরে আগুন লাগার ঘটনা যেহেতু থামেনি, তাই আগুন লাগলে যাতে কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ঘটনা ফের না ফিরে আসে, তাই এই মুহূর্তে দমকল মন্ত্রীর সহযোগিতায় এশহরে দমকল বাহিনীর কাছে আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। আনা হয়েছে রোবট। আকাশ ছোঁওয়া উচু বিল্ডিংগুলিতে যা আগুন লাগলে মোকাবিলা করা যায়, তারও প্রস্তুতি রয়েছে। তবে আগুন যাতে কোনওভাবেই না লাগে, মাটির উপরে ছড়িয়ে পড়া তার থেকে, কিংবা বিপদজ্জনকভাবে স্ট্রিটশপের রান্নার আগুন, এনিয়ে কতটা , সতর্ক রাজ্য, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।