সুমন ঘড়াই, কলকাতা: ডিএ ইস্যুতে (DA) কর্মবিরতিতে এবার যবনিকা টানতে পাল্টা নবান্ন (Nabanna)। আগামী ২০ এবং ২১ তারিখ অর্থাৎ সোমবার এবং মঙ্গলবার সকল ছুটি বাতিল করল রাজ্য সরকার (WB Govt)। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, যারা এই দুই দিন কাজে আসবেন না, তাঁদের চাকরিজীবন থেকে একটি দিন বিয়োগ হবে।মূলত ওই দুই দিন একাধিক কর্মী সংগঠন পেন ডাউন ও ধর্মঘটের আহ্বান জানাতেই কড়া পদক্ষেপ নবান্নের। 


বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ২০, ২১ কর্মবিরতির ডাকের ইস্যুতে কড়া সরকার । নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, '২০, ২১ ফেব্রুয়ারি অফিসে আসতেই হবে সরকারি কর্মীদের। ২০, ২১ কর্মবিরতিতে অংশ নিলে কর্মজীবন থেকে একদিন ছেদ। পাশাপাশি মুখোমুখি হতে হবে শোকজের'। সোম, মঙ্গলবার অফিসে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা সরকারের। বিশেষ কারণ ছাড়া কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি  সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা অর্থ দফতরের। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনের আজ ২৩ দিন। মূলত বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক যৌথ মঞ্চের।


সরকারি কর্মীদের বেতনের টাকা গ্রান্ট ইন এইড খাতে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? অন্য খাতে তা খরচ করা হচ্ছে? তাই কি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে DA-দেওয়া যাচ্ছে না? চাঞ্চল্যকরএই প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পাল্টা, তাঁদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি তো ম্য়াজিশিয়ান নই। যে টাকা দাও বললেই হঠাৎ গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল, টাকা চলে এল। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ DA আমরা দিয়েছি।'


আরও পড়ুন, রাজ্যে ডাক্তারিতে ভর্তির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা !


বকেয়া DA নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তুলেছে তারা। পাল্টা তৃণমূল আবার আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আমাদের কর্মচারীদের বেতন খাতে যে পয়সা আসে, তা কেন্দ্রীয় গ্রান্ট ইন এইড খাতে আসে, সেই গ্রান্ট ইন এইড খাতে প্রাপ্তির দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ স্থানে থাকে। অথচ সেই টাকা যখন কর্মচারীদের দিতে হচ্ছে, তার ক্ষেত্রে তারা সব থেকে শেষ স্থানে থাকছে, কর্মচারীদের জন্য পয়সা কেন্দ্রের কাছ থেকে পাচ্ছে, অথচ সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না, মেরে দিচ্ছে, টাকা জমিয়ে রেখে সুদ খাওয়া হচ্ছে।'