কলকাতা: ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) ৬ বিরোধী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice) । ৪ কংগ্রেস ও ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বুধবার পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ, নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কাল ঝালদা পুরসভার বোর্ড তৈরির কথা। ইতিমধ্যেই আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমুলের চেয়ারম্যান। মিথ্যা মামলায় বিরোধীদের ফাঁসানো হতে পারে, এই আশঙ্কায় মামলা করে কংগ্রেস। সেই মামলায় নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া তৃণমূলের (TMC),  আস্থা ভোটে তৃণমূলকে টেক্কা দিল কংগ্রেস (Congress)। ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন কংগ্রেসকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ২ নির্দল কাউন্সিলরের তলবি সভায় তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা তৃণমূলের। তাহেরপুরের পর ঝালদা পুরসভাও বিরোধীদের দখলে। হাইকোর্টের নির্দেশে, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় হয় আস্থা ভোট। ঝালদা শহরজুড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঝালদা পুরসভার ২০০ মিটারের মধ্যে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।  গত ১৩ অক্টোবর, তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন বিরোধী কাউন্সিলররা। বিরোধীদের তলবি সভা ডাকা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে ঝালদা পুরসভায় তলবি সভা ও আস্থা ভোট। কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর বাড়িতে জড়ো হন বাকি কংগ্রেস কাউন্সিলররা। এখান থেকেই দল বেঁধে তাঁরা পুরসভায় যান। 


আরও পড়ুন, আগামীকাল শুভেন্দুর গড়ে অভিষেক, বিরোধী দলনেতার সভাতেও অনুমতি আদালতের


 পুরুলিয়ার ঝালদায় ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তপন কান্দু। কংগ্রেস প্রার্থী তপন ১২৭ ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে, যিনি কিনা তাঁর নিজের ভাইপো। তার পর গত ১৩ মার্চ খুন হয়ে যান তপন। সঙ্গীদের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান। এ যাবৎ ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কখনও জেতেনি তৃণমূল। এদিকে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কাকা তপন কান্দুর আসনে জয়ী হন ভাইপো মিঠুন কান্দু।ওই আসন ধরে রাখলেও বোর্ড গড়তে পারেনি কংগ্রেস। গত বৃহস্পতিবার নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়েন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব তা স্বীকার করেনি। তার মধ্যেই বোর্ড দখলের আশা শুরু করে কংগ্রেস।সম্প্রতি এক নির্দল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে একজন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেলেই ঝালদা পুরসভা দখল করতে পারবে কংগ্রেস। তাহলে কি তৃণমূলের হাতছাড়া হতে চলেছে ঝালদা পুরসভা? এই জল্পনার মাঝেই ৩ বিরোধী কাউন্সিলরের ৪  নভেম্বরের জারি করা নোটিস খারিজ করে হাইকোর্ট। ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ডাকা ২১ নভেম্বরই আস্থা ভোট হবে, জানিয়ে দেয় আদালত। শেষ অবধি আশা মিলিয়েই আস্থা ভোটে তৃণমূলকে টেক্কা দেয় কংগ্রেস।