সন্দীপ সরকার এবং ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা:  আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) এক আধিকারিক। এমনকী এর জন্য বদলি হতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।                                                     


বিতর্কে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বেআইনিভাবে বিক্রি, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভেন্ডারদের বরাতে স্বজনপোষণ, অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা নয়ছয়, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে বেনিয়ম এমনই ভুরি ভুরি অভিযোগ তুললেন আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন নন-মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলি। 


এই দুর্নীতির পর্দাফাঁস করায় বদলি করা হয়েছে। এমনকী খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলেও সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্য হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, আরজি কর মেডিক্যালে ডেপুটি সুপার থাকাকালীন বেশ কিছু আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। 


হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেনের নির্দেশে কমিটি গড়ে তার তদন্ত হয়। সেই কমিটিতে ছিলেন আখতার আলিও। তাঁর দাবি, তদন্ত রিপোর্টে ছিল কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম। অভিযোগ, ২০ মার্চ সেই রিপোর্ট জমা দিতেই রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হয় তাঁকে। 


তারপর একাধিকবার হুমকি ফোনও পেয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের Anti Corruption Branch, স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন। রাজ্য হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ডেপুটি সুপার আখতার আলি বলেন, 'আমি চাই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। চাই জাস্টিস হোক। সরকারের ওপর আস্থা আছে। দুর্নীতিকে যাতে প্রশয় না দেওয়া হয়। প্রয়োজনে আদালতে যাব। তবে এই সরকারের প্রতি আস্থা আছে। আমাকে কোর্টে যেতে হবে না হয়তো। 


এবিষয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় ও আরজি কর মেডিক্যালের বর্তমান অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। কোনও মন্তব্য করতে চাননি আরজি কর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেনও। 


 


আরও পড়ুন, গ্রামের বিদ্যুৎ কেটে অন্ধকারে প্রেমিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রেগে বিয়েই দিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা